
কোনটা নিয়েছেন? জানেন ডাক্তার, কোভিড ভ্যাকসিনে মৃদু সাইড এফেক্ট পুতিনের!
রাশিয়ায় যে তিনটি ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলির কোনটি তিনি নিয়েছেন, জানাননি পুতিন। শুধু বলেছেন, যে ডাক্তার তাঁকে ইঞ্জেকশন দিয়েছেন, শুধু তিনিই জানেন। ডিসেম্বরেই পুতিন করোনাভাইরাস রোধী ভ্যাকসিন নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। আর পুতিন জানাচ্ছেন, তিনি অন্য যেসব ভ্যাকসিন নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন, সেগুলির সঙ্গেই করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। তাই দেরি হয়ে গেল।
রাশিয়ায় চালু তিনটি ভ্যাকসিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত স্পুতনিক ৫, সবচেয়ে বেশি মিলছেও সেটি। তবে সবকটি ভ্যাকসিন প্রায় একই বলে অভিমত পুতিনের। যদিও স্বাধীন জনমত সংগ্রহকারী সংস্থা লেভাদা সেন্টার জানিয়েছে, ১ মার্চ পর্যন্ত প্রায় দুই তৃতীয়াংশ রুশবাসীই স্পুতনিক ৫ নিতে আগ্রহী নন। অধিকাংশই এর মূল কারণ হিসাবে সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা বলেছেন।
রাশিয়া গত ডিসেম্বরে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ভাইরাস টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করে। গত সোমবার ১৪৪ মিলিয়ন রুশবাসীর ৪.৩ মিলিয়ন এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ পেয়েছেন বলে জানান পুতিন। এপর্যন্ত রাশিয়ায় মোট করোনা সংক্রমণ নথিভুক্ত হয়েছে ৪.৫ মিলিয়নের বেশি।
রাশিয়ায় গ্রীষ্মের শেষ নাগাদ করোনার বিরুদ্ধে হার্ড ইমিউনিটি (সংক্রমণের মাধ্যমে জনসংখ্যার বেশিরভাগের শরীরে ভাইরাস ঠেকানোর ক্ষমতা) তৈরি হয়ে যাবে এবং অতিমারী সংক্রান্ত বিধিনিষেধও উঠে যাবে বলে তিনি আশা করছেন বলে জানিয়েছেন পুতিন। নতুন করে আবার করেনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞানীদের একদলের আশা, একটি জনগোষ্ঠীর ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ সংক্রমণমুক্ত হলেই হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়ে যাবে