
মার্কিন সেনা সূত্রে খবর, দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। তাদের লঞ্চ প্যাড থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে প্রমাণও মিলেছে। ১৫০০ পাল্লার ওই ক্রুজ মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপম সফল হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি সূত্রে খবর, ৯৩০ মাইল বা ১৫০০ কিলোমিটার রেঞ্জ অবধি ছুটে গিয়ে লক্ষ্যে আঘাত করেছে সেই ক্ষেপণাস্ত্র। এই ধরনের দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইলের উৎক্ষেপণ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কোরিয়ান সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে একে ‘কৌশলগত অস্ত্র’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১৯ সালে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি নিয়ে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে দ্বিতীয় বার মুখোমুখি বসেছিল উত্তর কোরিয়া ও আমেরিকা। কিন্তু কিম ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওই বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। বস্তুত, উত্তর কোরিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলেননি ট্রাম্প। আর নিজেদের মনের মতো চুক্তি না হলে কোনও কিছুর প্রভাবেই যে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ হবে না, সেটাও জানিয়ে দিয়েছিল কিমের দেশ। এর পরেও হ্যামহাং শহরে দু’টি স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা করে উত্তর কোরিয়া। অনুমান মাটি থেকে ৪৮ কিলোমিটার উপর দিয়ে উড়ে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার (২৫০ মাইল) পথ পাড়ি দেয়। গত বছর সমুদ্রের গভীরে ডুবোজাহাজ থেকে এসবিএলএম-এর পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। ক্ষেপণাস্ত্রের মুখ ছিল পূর্বে। ডুবোজাহাজ বা সাবমেরিন থেকে ছোড়া যায় এমন ক্ষেপণাস্ত্র এসএলবিএম। হাইপারসনিক অর্থাৎ শব্দের চেয়ে বেশ কয়েক গুণ বেশি বেগে ছুটতে সক্ষম শক্তিশালী এসএলবিএম। ডুবোজাহাজ থেকে পরমাণু হামলা চালানোর জন্য বিভিন্ন দেশের হাতে যে সব ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, সেগুলির মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী এই ক্ষেপণাস্ত্র।