
রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia-Ukraine Conflict) সংঘাত চরমে পৌঁছে গেছে। লাগাতার মিসাইল, বোমা বর্ষণ করে চলেছে রাশিয়া। কিয়েভের (Kiev) রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে রুশ সেনা। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। ইউক্রেনকে সাহায্য করতে সরাসরি যুদ্ধের পথে যাবে না আমেরিকা (America) তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। তবে সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে প্রতিরক্ষায় ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। হোয়াইট হাউসের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ঘণ্টাখানেক কথা হয়েছে বাইডেন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদেমির জেলেনস্কির মধ্যে (Volodymyr Zelenskyy)।
টেলিফোনে দীর্ঘক্ষণ কথা হয় মার্কিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের। আমেরিকা বলেছে, প্রতিরক্ষায় সবরকমভাবে সাহায্য করতে রাজি মার্কিন প্রশাসন। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের তীব্র নিন্দা করলেও যুদ্ধে সরাসরি অংশ নেবে না আমেরিকা। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া ও আমেরিকা দুই পরমানু শক্তিধর দেশ সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে তা বিশ্বযুদ্ধের আকার নেবে। অন্যদিকে, অর্থনৈতিক দিকও আছে। করোনার কারণে বিশ্ব অর্থনীতি টালমাটাল। এখন শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো যুদ্ধ শুরু করে দিলে অর্থনীতিতে বিপুল ধস নামবে যা কাম্য নয়। তাই আড়াল থেকে ইউক্রেনকে সাহায্য করলেও আমেরিকা কখনওই যুদ্ধের পথে যাবে না।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ছাত্রদের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ কেন্দ্রের, রোমানিয়ার উদ্দেশে রওনা দিল বিমান
বাইডেন আগেই বলেছিলেন, পুতিনের সঙ্গে আর আর কোনও আলোচনার পরিকল্পনার পরিসর নেই। একই সঙ্গে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞাও ঘোষণা করেন তিনি। বাইডেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন যে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছেন, তাতে রয়েছে চারটি বড় ব্যাঙ্কের সম্পত্তি ব্লক করে দেওয়া, রফতানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা এবং গোষ্ঠীশাসনে অনুমোদন দেওয়া। বাইডেন দাবি করেন, রাশিয়া কখনও ইউক্রেনে রুশপন্থী নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবিত ছিল না। তাই এখন যে কারণ দেখিয়ে তারা ইউক্রেন আক্রমণ করছে তা মোটেই সত্যি নয়।