
‘বিগ্রহ বন্দনা, আমাদের খ্রিস্টীয় মূল্যবোধের বিরোধী’, দুর্গাপুজোয় অনুমতি নেই পাপুয়া নিউগিনিতে
ম্যানিংয়ের সই করা এই সংক্রান্ত চিঠিটি শেয়ার করেছেন বেন পাখাম, দি অস্ট্রেলিয়ান সংবাদপত্রের বিদেশ বিষয়ক ও ডিফেন্স করেসপন্ডেন্ট। ম্যানিং পাপুয়া নিউগিনির পোর্ট মোরসবের দুর্গা পুজো কমিটির সভাপতি পুষ্পেন্দু মাইতিকে লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন, দুর্গাপুজো এক ধরনের মূর্তি (idol worshipping) বা বিগ্রহ বন্দনা যা নীতিগত ভাবে অন্যায়, সেদেশের খ্রিস্টান মূল্যবোধের (christian values) পরিপন্থী।
#PNG Covid controller David Manning has issued an apology for a “grave and unfortunate error”, saying the previous statement was “a grave and unfortunate error”.
— Ben Packham (@bennpackham) September 29, 2021
চিঠিতে লেখা হয়েছে, আপনার আবেদন বিবেচনা করে আমরা বলছি, এটা এক ধরনের মূর্তি বা বিগ্রহের পুজো যা আমাদের খ্রিস্টীয় বিশ্বাস, মূল্যবোধের বিরোধী, নৈতিক ভাবে সঠিক নয়। তাই এই অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। ম্যানিংয়ের সিদ্ধান্ত জানাজানি হতেই শোরগোল ছড়িয়েছে। তারপর ম্যানিং ক্ষমা চেয়ে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, আগের বক্তব্যে দুর্ভাগ্যজনক, মারাত্মক ভুল হয়েছে।
চিঠিতে ম্যানিংয়ের সই থাকলেও তিনি দাবি করেছেন, তিনি সিদ্ধান্তের মূল হোতা নন, বরং তিনি ধর্মীয় রীতিনীতি, অনুষ্ঠান পালনের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন।
ওই মন্তব্য অত্যন্ত অশোভন এবং কোনওভাবেই আমার ব্যক্তিগত, পেশাদার মনোভাবের প্রতিফলন নয় বলে জানিয়েছেন তিনি। ম্যানিং বলেছেন, পাপুয়া নিউগিনি সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে আমাদের দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকারকে সম্মান করি আমি। অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে কোভিড ১৯ সংক্রমণের ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে। দুর্গাপুজো মানেই লোকজনের জমায়েত।
ক্ষমা করে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে ম্যানিং পুষ্পেন্দু মাইতিকে প্রস্তাবিত দুর্গাপুজো অনুষ্ঠানের বিস্তারিত কর্মসূচি পেশ করতে বলেছেন যাতে তিনি নিজে বিষয়টি আরেকবার খতিয়ে দেখতে পারেন।
আগের চিঠির রচনাকারীকে সাবধান করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ম্যানিং।
যদিও সংশ্লিষ্ট আদেশ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সিনিয়র উপদেষ্টা কাঞ্চন গুপ্তা বলেছেন, পাপুয়া নিউগিনি দুর্গাপুজোয় অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছে কারণ ‘তা এক ধরনের বিগ্রহ, মূর্তি পুজো যা নৈতিক ভাবে সঠিক নয়, আমাদের খ্রিস্টীয় মূলবোধের বিরোধী।‘ পরে অবশ্য ক্ষমা চেয়েছে।
প্রসঙ্গত, পাপুয়া নিউগিনির সঙ্গে ভারতের পণ্য আমদানি, রপ্তানি হয়।