
আমেরিকা-ব্রিটেন-অস্ট্রেলিয়া নিরাপত্তা জোটে নেবে না ভারত, জাপানকে, জানাল ওয়াশিংটন
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকিকে সাপ্তাহিক সাংবাদিক জনৈক সাংবাদিক সাকিকে প্রশ্ন করেন, শুক্রবার কোয়াড সামিট উপলক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়ানরা আসছে। ভারত, জাপানও আসছে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যেমনটা হয়েছে, তেমন সামরিক ভূমিকার ব্যাপারে কোনও ভাবনাচিন্তা কি করছেন। উত্তর দেওয়ার আগে সাকি মজাচ্ছলে বলেন, আউকুস? ওটা কী হবে? জাউকুস? জাইয়াউকুস?
ঘটনাচক্রে চলতি সপ্তাহেই ওয়াশিংটনে কোয়াড সামিট উপলক্ষ্যে মুখোমুখি কথা বলবেন ভারত, জাপানের প্রধানমন্ত্রীরা। সাকি বলেন, গত সপ্তাহে আউকুস গঠনের ঘোষণায় এমন কোনও ইঙ্গিত ছিল না আমার মনে হয়, প্রেসিডেন্ট এই বার্তা ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রঁকেও দিয়েছেন। জানিয়েছেন, ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকার নিরাপত্তায় আর কাউকে নেওয়া হবে না।
কোয়াড জোটে ভারত, আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া রয়েছে। ২৪ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে প্রথম সামনাসামনি কোয়াড সামিটের আয়োজন করেছেন।
পর্যবেক্ষক মহলের মত, ত্রিদেশীয় নিরাপত্তা জোট আইকুস হল ভারত-প্রশান্তমহাসাগরীয় এলাকায় চিনকে (china) ঠেকানোর একটা উদ্যোগ। এই জোটের ফলে অস্ট্রেলিয়াকে এই প্রথম পরমাণু অস্ত্রবাহী সাবমেরিন তৈরির প্রযুক্তি দিতে পারবে আমেরিকা, ব্রিটেন। চিন এই জোটের প্রবল সমালোচনা করে বলেছে, এমন বিশেষ জোটের কোনও ভবিষ্যত্ বলে কিছু নেই। এতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে, অস্ত্র প্রতিযোগিতা বাড়বে, আন্তর্জাতিক স্তরে পরমাণু প্রসার রোধ প্রয়াস মার খাবে। এমন জোট গঠনে ক্ষুব্ধ আমেরিকার ইউরোপীয় মিত্র ফ্রান্সও। তারা বলেছে, তাদের পিঠে পিছন থেকে ছুরি মারা হয়েছে, আউকুস জোটে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ জানিয়েছে তারা। আউকুস ডিল সই হওয়ার পর ফ্রান্স মার্কিন ও অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতকেও তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে। আউকুস জোট হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ায় প্রচলিত সাবমেরিন তৈরির লোভনীয় বরাতও হাতছাড়া হয়েছে ফ্রান্সের। তবে সম্পর্ক অটুট রাখার চেষ্টায় বাইডেন ও মাক্রঁ বুধবার একমত হয়েছেন, ফ্রান্সের কৌশলগত স্বার্থবাহী ইস্যুতে খোলাখুলি শরিকদের মধ্যে আলোচনা পরিস্থিতি ভাল করতে সাহায্য করবে। দুজনে ঠিক করেছেন, আস্থা বৃদ্ধি সুনিশ্চিত করার উপযোগী পরিবেশ গড়তে বিস্তারিত, গভীর আলোচনা প্রক্রিয়া শুরু করবেন তাঁরা।