
নৌসেনাপ্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল হোসেন খানজাদি বলেছেন, জাস্ক-২ প্রজেক্টের অধীনে এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রযুক্তিতে প্রয়োজনীয় বদল আনা হচ্ছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা আরও বাড়বে। শত্রুপক্ষকে চমকে দেবে এর বিধ্বংসী ক্ষমতা। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এক হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে চোখের নিমেষে ধ্বংস করতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। জাস্ক ক্রুজ মিসাইলের অন্যান্য বৈশিষ্ট্য এখনও সামনে আনেনি তেহরান, তবে সূত্রের খবর এই সাবসনিক ক্রুজ মিসাইল ইরানের নৌবাহিনীকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলবে।
আগামী মাসেই ভারত মহাসাগরে চিন ও রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ সেনামহড়া চালাবে ইরান। তার আগেই জাস্ক ক্রুজ মিসাইলের উৎক্ষেপণ করা হবে বলে জানিয়েছে তেহরান। রিয়ার অ্যাডমিরাল খানজাদির কথায়, সামরিক ডুবোজাহাজগুলিকে আরও কীভাবে অস্ত্রসাজে সজ্জিত করা যায় তা নিয়ে ভাবছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। উপকূলে নজরদারি চালাতে ও ভারত মহাসাগরে নিজেদের নিরাপত্তা বাড়াতে তৈরি হবে আরও অত্যাধুনিক সামরিক ডুবোজাহাজ। প্রতিটি যুদ্ধজাহাজে অ্যাটাক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র থাকতে হবে। পাশাপাশি থাকবে বেশ কয়েকটি জাহাজধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্রও। তাছাড়াও এই সাবমেরিনগুলো উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টর্পেডো ছোড়ার মত শক্তিশালীও হবে।
রিয়ার অ্যাডমিরাল খানজাদি জানিয়েছেন, জাস্ক-২ প্রজেক্টের পাশাপাশি জাস্ক-৩ প্রজেক্টও চলছে পুরোদমে। আরও উন্নত ও দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইল ইরানের নৌবাহিনীর হাতে চলে আসবে আগামী কয়েকবছরের মধ্যেই।
এই মুহূর্তে ভারতের হাতে আছে মোট ১০০টি সাবমেরিন এবং অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ। ভারতে যে স্করপিন গোত্রের সাবমেরিন আছে সেগুলি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টর্পেডো এবং ভূমি থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র বহণ করতে পারে।