
কোভিডের প্রথম ওয়েভের সঙ্গে তুলনা করে বলরাম ভার্গব বলেন, দ্বিতীয় ওয়েভে আমরা দেখছি, আক্রান্তদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। সেজন্য অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে বেশি। তাঁর কথায়, “খুব নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, এবার কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে উপসর্গ আগের চেয়ে কম। গাঁটে ব্যথা, ক্লান্তি, গলায় ব্যথা বা গন্ধ না পাওয়ার প্রবণতা এবার আগের মতো নেই। তবে শ্বাসকষ্ট আগের চেয়ে বেড়েছে।” একইসঙ্গে তিনি জানান, প্রথম ও দ্বিতীয় ওয়েভের মধ্যে মৃত্যুহারের কোনও পার্থক্য নেই।
সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজির ডিরেক্টর ডক্টর রাকেশ মিশ্র এদিন বলেছেন, করোনা সংক্রমণের নিরিখে আমেরিকার পরেই আছে ভারত। আমেরিকায় যেমন প্রতিদিন লাখের বেশি সংক্রমণ ধরা পড়ছিল, এখন ভারতের অবস্থাও তেমনই। আগামী তিন সপ্তাহ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন তিনি। ডক্টর রাকেশের বক্তব্য, আগামী তিন সপ্তাহ খুব কড়াভাবে কোভিড বিধি না মানলে সংক্রমণের হার সব সীমা ছাড়িয়ে যাবে। আক্রান্তের সংখ্যা এত দ্রুত ও বিপুল হারে বাড়তে থাকবে যে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে দেশে। আর এই তৃতীয় ধাক্কা মোটেও সুখকর হবে না। বহু মানুষের মৃত্যু হবে সংক্রমণে। তাই এই কটা দিন কোভিড গাইডলাইন অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা দরকার প্রত্যেকের।
অতিমহামারী ঠেকাতে অবশেষে লকডাউনের পথে হাঁটছে রাজধানী দিল্লি। সোমবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ঘোষণা করেছেন, এদিন রাত ১০ টা থেকে আগামী সোমবার ভোর পাঁচটা পর্যন্ত রাজধানীতে লকডাউন থাকবে। তাঁর দাবি, দিল্লিতে বড় সংকট এড়াতেই ছ’দিন লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই সময় কেবল অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা চালু থাকবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা যদি এখন লকডাউন জারি না করি, তাহলে হয়তো আরও বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেই হচ্ছে। দিল্লিবাসীদের রক্ষা করতে সরকার দায়বদ্ধ।” পরে তিনি বলেন, ছ’দিনের লকডাউনে আমরা হাসপাতালে আরও বেশি বেডের ব্যবস্থা করতে পারব। অক্সিজেনের সরবরাহও বাড়ানো যাবে।