
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, তাতে ভারতের সহায়তার কথা সকলেই জানেন। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই মধুর। সেই সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়েছিল একাত্তরেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই সম্পর্ক আরও বেড়েছে। সেই সম্পর্ক (India-Bangladesh Relation) ভবিষ্যতে আরও গভীর হবে বলে আশাবাদী ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা।
ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে দু’দেশের সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন ভারতের রাষ্ট্রদূত। তিনি আরও বলেন, কিছু চ্যালেঞ্জ আছে অবশ্যই। তবে দু’দেশ মিলে সেই সমস্যা মোকাবিলায় কাজ করছে। একাত্তরের চেতনা পৌঁছে যাচ্ছে তরুণদের মধ্যে। ফলে আগামীতে সব চ্যালেঞ্জ সহজেই মোকাবিলা করতে পারবে দু’দেশই।
মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে মৈত্রী দিবস উপলক্ষে যে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেখানে প্রণয় ভার্মা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো শামসুল হক টুকু সহ অনেক বিশিষ্টজনেরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য-সচিব বিশিষ্ট চিকিৎসক ও কলামিস্ট ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।
এদিন প্রণয় ভার্মা বলেন, নরেন্দ্র মোদীর কথা মত দু’দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়া হবে। বাকি অতিথিরাও সেই সম্পর্কের কথা মনে করিয়ে দেন। এমনকী মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত কীভাবে সাহায্য করেছিল, সেকথা উঠে আসে এদিনের অনুষ্ঠানে।
এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ভারত সরকার মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করেছে। ইন্দিরা গান্ধী করেছেন। অস্ত্র দিয়েছেন। কিন্তু ত্রিপুরার মানুষকে কীভাবে ভুলে যাই? ত্রিপুরার মানুষ নিজেদের জনসংখ্যার বেশি মানুষকে খাইয়েছিলেন। থাকতে দিয়েছিলেন। অসম-পশ্চিমবঙ্গ-বিহারে অবাঙালিরাও আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।’
সিবিআই সন্তুর খোঁজ দেবে, আশায় মদনপুরের নিখোঁজ ছাত্রের পরিবার