
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শিক্ষায় যা দেশের প্রতিটি মানুষের সমান অধিকার রয়েছে। যেখানে ভেদাভেদের কোনও জায়গা নেই। লিঙ্গ, ধর্ম, বর্ণ, জাতি, নির্বিশেষে সমস্ত মানুষের শিক্ষার অধিকার আছে। কিন্তু সংবিধানে লেখা প্রাপ্য অধিকারের থেকে বাস্তবের চিত্র অনেকটাই আলাদা! সাধারণ ছেলেমেয়ে ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছেলেমেয়েদের বাস্তবে ভিন্ন চোখে দেখা হয়। শিক্ষাক্ষেত্রেও রয়েছে ভেদ। আছে ভিন্ন স্কুল। কিন্তু ভবিষ্যতে এই ভেদাভেদ দূর করার চেষ্টা চলছে। দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ইনক্লুসিভ এডুকেশন (Inclusive Education System) সিস্টেম।
জাতীয় নয়া শিক্ষানীতিতে (National Education Policy) এই অধিকারের কথা বলা হয়েছে। একজন সাধারণ পড়ুয়া ও একজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পড়ুয়া একই স্কুলে পড়ার অধিকার রয়েছে। এই শিক্ষানীতির ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এক বিশেষ বার্তা যাবে বলে মত, শিক্ষামহলের। কলকাতাতেও (Kolkata) এই ইনক্লুসিভ এডুকেশন সিস্টেমের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কেআইআইটি ইন্টারন্যাশাল স্কুলের তরফে এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত করার চেষ্টা হচ্ছে। স্পেশাল এডুকেশন নিড নামক একটি প্রোগ্রাম শুরু করতে চলেছে এই স্কুল। এই প্রোগ্রামের মূল লক্ষ্যই হল শিক্ষাক্ষেত্রে থাকে ভেদাভেদ মুছে দেওয়া। এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে এই স্কুলের চেয়ারপারসন ড: মোনালিসা বাল জানান, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে এই অধিকার সমস্ত পড়ুয়াকে উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিশ্চিত করবে। প্রযুক্তি হয়তো শিক্ষায় আমূল পরিবর্তন ঘটাতে পারবে কিন্তু মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন করতে পারবে না। সমাজ সর্বদা এইসব বাচ্চাদের এড়িয়ে চলে যায়। কিন্তু এই নতুন সিস্টেম সবাইকে সমান অধিকার দেবে। ফলে কারওর কাছে কোনও নেতিবাচক ধারণা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।”
স্পেশাল এডুকেশন নিড, বাচ্চাদের নানাভাবে তৈরি করে তুলবে। সাধারণ ছেলেমেয়ে ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছেলেমেয়েদের মধ্যে থাকা এক অদৃশ্য ভেদাভেদ মুছে দেবে। ছোট থেকেই যদি এমনভাবে একসঙ্গে সকলকে তৈরি করা যায় তাহলে ভবিষ্যতে সমাজে আর কোনও বিভেদের অবকাশ থাকবে না।
অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যেতে চায় ইডি, আবেদন হাইকোর্টে