Latest News

হোয়াটসঅ্যাপে ‘ধর্মদ্রোহী’ মেসেজ! বিচ্ছেদ হওয়া বন্ধুর অভিযোগে পাকিস্তানে মৃত্যুদণ্ড মহিলার

দ্য ওয়াল ব্যুরো: বন্ধুত্ব ভেঙে গেলে একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে ধর্মদ্রোহিতার (blasphemy) নালিশ জানিয়ে তার সর্বনাশ করে ছাড়বে! এমনই ঘটল পাকিস্তানে। বিচ্ছেদ হওয়া বন্ধুকে (estranged friend) ‘ধর্মদ্রোহিতামূলক মেসেজ’ (blasphemous message) পাঠানোয় পাকিস্তানের আদালত (pakistan court) মৃত্যুদণ্ড (death sentence) দিল এক মহিলাকে (woman)। আনিকা আত্তিক নামে মহিলাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে রাওয়ালপিন্ডির এক আদালত। আনিকার বিরুদ্ধে ২০২০ তে মামলা করেন ফারুক হাসানাত। দুজনে পরস্পরের ঘনিষ্ঠ বন্ধুই ছিলেন এককালে। কিন্তু পরবর্তীকালে তাঁদের মধ্যে মতবিরোধ মাথাচাড়া দিলে  বন্ধুত্ব ভেঙে যায়। প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ আনিকা তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে ‘পয়গম্বরবিরোধী বার্তা’ পাঠান বলে দাবি ফারুকের।  তিনি আনিকাকে ওই বার্তা মুছে ফেলে এমন আচরণের জন্য ক্ষমা চাইতে বলেন, কিন্তু আনিকা তাতে কান দেননি বলে অভিযোগ ফারুকের। আনিকার বিরুদ্ধে ফেডেরাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির সাইবার অপরাধ দমন শাখায় অভিযোগ দায়ের করেন ফারুক। এজেন্সি প্রাথমিক তদন্তের পর মামলা দায়ের করে পূর্ণ তদন্ত, বিচারের জন্য আনিকাকে গ্রেফতার করে।

আনিকার বিরুদ্ধে পয়গম্বরের বিরুদ্ধে কুত্সা, ধর্মদ্রোহিতা, ইসলামের অবমাননা ও সাইবার অপরাধ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ দায়ের করা হয়।

পাকিস্তানে ধর্মদ্রোহিতা আইন চালু  হয়েছিল আটের দশকে সেসময়ের সামরিক শাসক জিয়াউল  হকের আমলে। এপর্যন্ত এই আইনে কারও প্রাণদণ্ড কার্যকর হয়নি বটে, তবে ধর্মদ্রোহী আচরণ করেছে, স্রেফ এমন সন্দেহের বশে অনেককে খুন করা হয়েছে পাকিস্তানে। মাত্র কয়েক মাস আগে ধর্মদ্রোহিতার অভিযোগ তুলে শিয়ালকোট শহরে একটি কারখানার ম্যানেজার পদে নিযুক্ত এক শ্রীলঙ্কার নাগরিককে পিটিয়ে হত্যা করে একদল ধর্মান্ধ লোক।

 

 

 

 

 

You might also like