Latest News

পাঁচটি ল্যাবরেটরি বন্ধ, জিনোম সিকোয়েন্সিং করে কোভিডের ভ্যারিয়ান্ট নির্ণয়ের কাজে বিঘ্ন

দ্য ওয়াল ব্যুরো : কোভিড অতিমহামারীর (Covid Pandemic) সময় সারা দেশে মোট ৩৮ টি ল্যাবরেটরিতে (Laboratory) জিনোম সিকোয়েন্সিং (Genome Sequencing) করা হচ্ছিল। ওই পদ্ধতিতে জানা যায়, কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে কোন ভ্যারিয়ান্ট সংক্রমিত হয়েছে। কিন্তু কেমিক্যাল রি-এজেন্টের অভাবে বর্তমানে বন্ধ হয়ে গিয়েছে পাঁচটি গবেষণাগার। কোভিড রোগীর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহের পরে তার সঙ্গে ওই রি-এজেন্টের রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটানো হয়। তার ফলাফল দেখে বোঝা যায়, কোন ভ্যারিয়ান্ট রোগীর শরীরে বাসা বেঁধেছে।

কেন্দ্রীয় সরকার বর্তমানে জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর ওপরে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। যাঁরা ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর মাধ্যমেই চিহ্নিত করা সম্ভব। সরকার চায় দ্রুত ওমিক্রন আক্রান্তদের চিহ্নিত করে আইসোলেশনে পাঠাতে। তবেই কোভিডের ওই অতি সংক্রামক ভ্যারিয়ান্টকে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।

জানুয়ারির শুরুতে দেশের কোভিড পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরে তিনি বলেন, “আমাদের নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে। জিনোম সিকোয়েন্সিং সেই গবেষণার অন্যতম অঙ্গ।”

ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারিতে জিনোম সিকোয়েন্সিং হয়েছে ৪০ শতাংশ কম। দেশে কোভিড অতিমহামারী শুরু হওয়ার পরে ১ লক্ষ ৬০ হাজারের বেশি রোগীর জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়েছে। গত ডিসেম্বরে সরকার স্বীকার করে, প্রত্যেক কোভিড রোগীর দেহের নমুনা নিয়ে জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্ভব নয়। ভারতের কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভি কে পল বলেন, “যথেষ্ট সংখ্যক রোগীর জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হচ্ছে। কোভিড পরিস্থিতির ওপরে আমরা যথাযথভাবেই নজর রাখছি।”

বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানায়, তার আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৩ লক্ষের বেশি মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৭০০ জনের শরীরে ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্ট পাওয়া গিয়েছে।

You might also like