
বিগ বাজারের মতো একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের মালিক ফিউচার গ্রুপ তার খুচরো ব্যবসা ৩৪০ কোটি ডলার অর্থাৎ প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে বিক্রি করতে চেয়েছিল রিলায়েন্সকে। সেক্ষেত্রে বিগ বাজারেরও মালিক হত রিলায়েন্স। সিঙ্গাপুরের আদালতের রায় ফিউচার গ্রুপ মানতে চায়নি। তখন অ্যামাজন অভিযোগ জানায় সেবির কাছে।
গত কয়েক দশকে দেশের খুচরো ব্যবসার জগতে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে ফিউচার গ্রুপ। কিন্তু করোনা অতিমহামারীতে তাদের ব্যবসা রীতিমতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফিউচার গ্রুপের মালিক কিশোর বিয়ানি খুচরো ব্যবসা বেচে দেওয়ার জন্য খদ্দের খুঁজতে থাকেন। গত মাসে কম্পিটিশন কমিশন অব ইন্ডিয়া ফিউচার গ্রুপের খুচরো, পাইকারি, লজিস্টিক ও গুদামের ব্যবসা বিলিওনেয়ার ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্সকে বিক্রির প্রস্তাব অনুমোদন করে।
এই চুক্তির বিষয়ে রিলায়েন্স রিটেল ভেঞ্চার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান ঈশা আম্বানি বলেছিলেন, “একটা বড় চুক্তি করেছি আমরা। ভারতের রিটেল ব্যবসায় ফিউচার গ্রুপ খুবই সফল এক সংস্থা। সেই গ্রুপের সঙ্গে আমরা নিজেদের নাম যোগ করলাম। এই রকমের নামী ব্র্যান্ডকে রিলায়েন্সের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে পারলাম। ফিউচার গোষ্ঠী আগামী দিনে আরও সাফল্য পাবে। এই দুই সংস্থা একসঙ্গে ভারতের গ্রাহকদের কাছে নতুন বার্তা দেবে।”
লকডাউনের ফলে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন শিল্পপতিদের ব্যবসা যেখানে মার খাচ্ছে, সেখানে তার উল্টো ছবিটা দেখা যাচ্ছে রিলায়েন্সের। বিশ্বের ধনীদের তালিকায় মে মাসে ১৭ তম স্থানে চলে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে গত তিন মাসে চার নম্বরে উঠে এসেছেন মুকেশ আম্বানি। তার একটা অন্যতম কারণ হল, লোকসানের পরেই নিজের সংস্থায় একের পর এক বিনিয়োগ আনতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। ফেসবুক, গুগল রিলায়েন্সের শেয়ার কিনেছে। তার ফলে একদিকে যেমন টাকা এসেছে, অন্যদিকে তেমনই রিলায়েন্সের শেয়ারের মূল্যও বেড়েছে। তারই ফলে পাচ্ছেন মুকেশ আম্বানি। একের পর এক বড় পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি।