
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রথম বিতর্ক তুলেছিলেন ‘দ্য ডন’ পত্রিকার সিইও হামিদ হারুন। পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের বেশ কয়েক দিন আগে বিবিসি-র একটি টক শো-তে হারুন দাবি করেছিলেন, ‘ইমরানকে প্রধানমন্ত্রী করতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ভীষণ রকম চেষ্টা চালাচ্ছে।’ ম্যাজিক ফিগার পাওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রী হয়ে কী করবেন, তা নিয়ে ইমরান খানের বক্তৃতার পর থেকে সেনা বাহিনীর সাহায্যের কথা বারবার উঠে আসছে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়।
ঠিক কী কারণে এই অভিযোগ?
ভোটের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শুরু হয় গণনা। অভিযোগের আঙুল ওঠে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের দিকেও। গণনা চলতে চলতেই থমকে যায়। কোনও রাজনৈতিক দলের এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি গণনা কেন্দ্রে। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বা প্রভিন্সিয়াল অ্যাসেম্বলি, কোনও স্তরের নির্বাচনী গণনা কেন্দ্রেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি প্রার্থীর এজেন্টদের। দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে গণনা। নির্বাচন কমিশন জানায় যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য এই বিলম্ব। কিন্তু ইমরান বিরোধীরা এই যুক্তি মানতে চাননি।
অভিযোগ, পাকিস্তানের গণতন্ত্রকে বছরের পর বছর ধরে নিয়ন্ত্রণ করে পাক সেনা। বিচার ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে নওয়াজ শরিফ এবং তাঁর কন্যাকে জেলে ঢোকাতে আসল কলকাঠি নেড়েছে পাক সেনাবাহিনীই। ম্যাজিক ফিগার না পেলেও ইমরানের পার্টি পাকিস্তান-তেহেরিক-ই-ইনসাফ হয়তো বাকি ছোট দলের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়তে চলেছে। কিন্তু ইমরানের এই জয় শুধু ব্যালট বাক্সের জয় নয়, সেনাবাহিনীর অঙ্গুলি হেলনে আসল খেলা খেলেছে নির্বাচন কমিশনই। এমনটাই মনে করছেন অনেকে।
যদিও পাক সেনাবাহিনীর তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে নিরাপত্তার ব্যবস্থা দেখা ছাড়া সেনাবাহিনীর আর কোনও কাজ ছিল না।