
দ্য ওয়াল ব্যুরো : ভোটের প্রচারেই বলেছিলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়বেন। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ হাইকমিশনারের মুখোমুখি হয়ে প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা ইমরান খান জানিয়ে দিলেন, পাকিস্তানের অসাধু রাজনীতিকরা ব্রিটেনে যে সম্পত্তি জমা রেখেছেন, সেসব উদ্ধার করা হবে তাঁর প্রথম কাজ। ব্রিটেনও সম্প্রতি বিদেশিদের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন অর্থ বাজেয়াপ্ত করার জন্য আইন করেছে। পাকিস্তানের দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে ওই আইনটি ব্যবহার করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
কয়েকবছর আগে পানামা পেপারসে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের নাম ফাঁস হওয়ার পরে দুর্নীতির বিষয়টি পাকিস্তানে খুব বড় ইস্যু হয়ে ওঠে। নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত হন। বর্তমানে তিনি জেলে আছেন।
গত কয়েক দশক ধরে বিশ্বের নানা দেশ থেকেই অসৎ ব্যক্তিরা ব্রিটেনে সম্পত্তি পাচার করে। অসাধু পথে পাওয়া অর্থ দিয়ে তারা সেদেশে নানা মূল্যবান সম্পত্তি কেনে। শরিফ ৮০ লক্ষ পাউন্ড দিয়ে লন্ডনে চারটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। কয়েকজন রাশিয়ানও ব্রিটেনে বিপুল সম্পত্তি কিনেছে বলে জানা যায়।
বিদেশিরা যাতে এইভাবে ব্রিটেনে বেআইনি অর্থ জমা রাখতে না পারে সেজন্য সেদেশের সরকার কড়া আইন করেছে সম্প্রতি। তাতে বলা হয়েছে, কেউ যদি সম্পত্তি কেনার সময় তার আয়ের উৎস না জানাতে পারে তাহলে তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা যেতে পারে। এমনকী অর্থ বাজেয়াপ্তও করা যেতে পারে।
ব্রিটেনের হয় কমিশনার টমাস ড্রিউয়ের সঙ্গে বৈঠকে ইমরান স্পষ্ট বলেন, আমাদের দেশ থেকে যে অর্থ ব্রিটেনে জমা রাখা হয়েছে, তা ফিরিয়ে আনতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। পরে ব্রিটিশ সরকারও এক বিবৃতিতে বলে, আমরা পাকিস্তানের নতুন নেতার সঙ্গে ‘গঠনমূলক কাজ’ করতে চাই।