
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মার্চের ১৬ তারিখ পাকিস্তানে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ৩৩টি আসনে উপ নির্বাচনের জন্য ভোট নেওয়া হবে। সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আজব সিদ্বান্ত নিয়েছেন ইমরান খান (Imran Khan) ও তাঁর পার্টি পাকিস্তান (Pakistan) তেহরিক ই ইনসাফ বা পিটিআই। ৩৩ আসনেই লড়াই করবেন ইমরান খান।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেট তারকা ইমরানের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে তুমুল রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে পাকিস্তান জুড়ে। কারণ, দেশের নির্বাচন কমিশনের সিদ্বান্ত অনুযায়ী ইমরান আগামী পাঁচ বছর কোনও নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। তাঁর পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য পদও খারিজ হয়ে গিয়েছে।
ঘটনা হল, ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই ইমরানের দলের সদস্যরা একযোগে পদত্যাগ করেন। তাঁদের মধ্যে ৩৩ জনের পদত্যাগ পত্র এখনও পর্যন্ত গ্রহণ করেছেন স্পিকার রাজা পারভেজ আশরফ। তিনি পদত্যাগী সদস্যদের প্রত্যেককে ডেকে কথা বলছেন।
ইমরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দেশের শীর্ষ পদে থাকাকালে বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়া উপহার সামগ্রী রাষ্ট্রীয় তোষাখানা থেকে অল্প দামে কিনে নিয়ে চড়া দামে বিক্রি করেছেন। সেই বাবদ আয় নির্বাচনের আগে পেশ করা হলফনামায় উল্লেখ করেননি। নিয়ম হল, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীরা সাংবিধানিক পদে থাকার সুবাদে যে সমস্ত উপহারসামগ্রী পাবেন সেগুলি তোষাখানায় জমা করে দিতে হবে। পরে সেগুলি নিলাম ডেকে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করা হয়। সেই বাবদ অর্থ সরকারের ঘরে জমা করা হয়।
ইমরান এর মধ্যে বেশ কিছু মহার্ঘ উপহার যা তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সৌদি আরব সফরে গিয়ে পেয়েছিলেন, সেগুলি কম দামে কিনে নিয়ে বাজারে বিক্রি করে বিপুল টাকা আয় করেছেন। তালিকায় আছে ব্রিটেন ও আমেরিকার কাছ থেকে পাওয়া উপহারও।
ইমরানের ৩৩ আসনে প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্তের অর্থ তিনি ও তাঁর দল সংসদ বয়কট চালিয়ে যাবেন। কারণ, কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁর প্রার্থীপদ বৈধ হবে না।
মহুয়াদের মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্ট, মোদীকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রে নিষেধাজ্ঞায় জোড়া পিআইএল