
চলতি সপ্তাহে দু’দিন জম্মু-কাশ্মীর সফর করেন ২৫ টি দেশের প্রতিনিধি। সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত হওয়ার পরে জম্মু-কাশ্মীরে কী পরিস্থিতি রয়েছে, তা তাঁরা খতিয়ে দেখেছেন। শুক্রবার তাঁরা বিবৃতি দিয়ে বলেন, “আমরা দেখেছি, ভারত সরকার ওই অঞ্চলে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু কয়েকটি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এখনও। ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ আছে। কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা এখনও বন্দি আছেন।” ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুখপাত্র বলেন, “নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগের ব্যাপারটা আমরা বুঝি। তাও অবশিষ্ট নিষেধাজ্ঞাগুলি তুলে নেওয়া জরুরি।”
গত ৫ অগস্ট সংসদে ৩৭০ ধারা উঠে যায়। একইসঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে পৃথক দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। তারপর থেকে উপত্যকা জুড়ে চলেছে উত্তেজনা। সংসদের ভিতরে ও বাইরে বিরোধীরা সরব হয়েছেন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। এখনও পর্যন্ত কাশ্মীরের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা, মেহেবুবা মুফতিরা গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন। সতর্কতামূলক গ্রেফতার করে রাখা হয়েছে আরও রাজনৈতিক নেতাদের।
জম্মু-কাশ্মীরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে একাধিকবার কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত উপত্যকার বিস্তীর্ণ অংশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। বিক্ষিপ্ত জায়গায় টুজি পরিষেবা চালু হলেও অধিকাংশ জায়গাতে তাও হয়নি।