
পুণে আইসারের গবেষকরা বলছেন, করোনা রোগীদের সংস্পর্শে এসেছেন এমন মানুষজন যাদের সংক্রমণের উপসর্গ নেই অথচ শরীরে ভাইরাস ঢুকে রয়েছে তাদের শনাক্ত করা জটিল কাজ। সকলের ক্ষেত্রে দামি রিয়েল টাইম আরটি-পিসিআর টেস্ট করাও সম্ভব নয়। র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে অনেক সময়েই ফলস রেজাল্ট আসে। তাই শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের পাশাপাশি স্মেল টেস্ট করা যেতে পারে।
Paper in @EClinicalMed from Dr. Nixon Abraham's group @LNCB_IISER_Pune, along with collaborators from BJ Medical College and Sassoon Hospital in Pune, on using the sense of smell to identify #asymptomatic #COVID19 infectionhttps://t.co/UzhYBxBIQD@EduMinOfIndia @India_Alliance https://t.co/7VSL8pOQMr
— IISER Pune (@IISERPune) October 16, 2020
কী পরীক্ষা করছেন পুণে আইসারের গবেষকরা?
আইসারের গবেষকরা বলছেন, অলফ্যাক্টরি নার্ভের মাধ্যমে গন্ধের অনুভূতি মস্তিষ্কে পৌঁছয়। তাই এই ধরনের কোভিড টেস্টের জন্য অলফ্যাক্টরি-অ্যাকশন মিটার তৈরি করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ হলে তার প্রাথমিক পর্যায়ে নাকের গন্ধ নেওয়ার ক্ষমতা চলে যায় অনেক ক্ষেত্রেই। এই লক্ষণ দেখে কোভিড সংক্রমণ হয়েছে কিনা ধরা যায়। অলফ্যাক্টরি-অ্যাকশন মিটার সেটাই করবে। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ল্যানসেট মেডিক্যাল জার্নালে এই গবেষণার রিপোর্ট ছাপা হয়েছে।
অগস্ট মাসের আগে অবধি দেশজুড়ে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে ৮০% করোনা রোগীই উপসর্গহীন। যেহেতু রোগের কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি তাই এদের বেশিরভাগকেই চিহ্নিত করা যায়নি। কনট্যাক্ট ট্রেসিংও করা হয়নি। দিল্লিতে সেরো সার্ভে বা অ্যান্টিবডি টেস্ট রিপোর্টেও দেখা গেছে অন্তত ২৯ শতাংশ রোগীর শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি রয়েছে। যার অর্থ এই রোগীরা সংক্রামিত হয়েছিলেন, কোনও উপসর্গ দেখা না যাওয়ায় এদের শনাক্ত করা যায়নি। গবেষকরা বলছেন এই উপসর্গহীনদের পরীক্ষা করে দেখা গেছে বেশিরভাগেরই নাকের গন্ধ নেওয়ার ক্ষমতা কমেছে বা একেবারে লোপ পেয়েছে। এই রোগকে বলে অ্যানোসমিয়া (Anosmia) । বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সর্দি-কাশির সংক্রমণ হলে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, সাইনাস দেখা যায়। করোনাভাইরাস মানুষের শ্বাসযন্ত্রকে পুরোপুরি বিকল করে দেওয়ার চেষ্টা করে। যার ফল তীব্র শ্বাসকষ্ট এবং নাকের গন্ধ নেওয়ার ক্ষমতা পুরোপুরি চলে যাওয়া। গন্ধের অনুভূতি আসে কয়েকটা ধাপে। কোনও বস্তু থেকে নির্গত উপাদান অলফ্যাক্টরি নার্ভকে উদ্দীপিত করে। স্নায়ু কোষের মাধ্যমে সেই বার্তা পৌঁছয় মস্তিষ্কে, যেখানে যেই বস্তুকে শনাক্ত করা হয়। মারণ ভাইরাস এই সিস্টেমটাকেই অকেজো করে দেয় যার ফল অ্যানোসমিয়া।
অলফ্যাক্টরি-অ্যাকশন মিটার যন্ত্রে নানা রকম গন্ধের উপাদান বিভিন্ন রকম ঘনত্বে রোগীর নাকের সামনে ধরা হবে। যিনি সুস্থ তিনি সবরকম গন্ধই পাবেন। যার শরীরে সংক্রমণ রয়েছে যে সবরকম ঘনত্বের গন্ধ পাবে না। প্রায় ২০ মিনিটের এই টেস্টেই উপসর্গহীন কোভিড রোগীদের চিহ্নিত করা যাবে।