
লতিফা আলিজাই নামের এক শিক্ষক টোলো নিউজকে বলেছেন, “আমাদের শিক্ষকদের বেতন কোনওদিনই খুব বেশি ছিল না, যে আমরা অনেক টাকা জমিয়ে রাখব। আমরা যে পেতাম তাই দিয়ে আমাদের রোজকার খরচই চলত কেবল। চার মাস ধরে তাও চলছে না।”
সূত্রের খবর, কিছু শিক্ষকের ঘরে কার্যত হাঁড়ি না চড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অসুখবিসুখ করলে চিকিৎসা করানোর খরচটুকুও নেই। স্কুলশিক্ষক আহমেদ হাকিমির কথায়, “বহু শিক্ষকের বাড়িতে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে বিল না মেটাতে পারায়।” আবার আর এক শিক্ষক সাদাত আতিফ বলছেন, “আমার মেয়ে এক মাস ধরে অসুস্থ। আমি ডাক্তার দেখাতে পারছি না ওকে। ডাক্তারও নেই, টাকাও নেই।”
শুধুই যে শিক্ষকদের অবস্থা এমন তা নয়। গত সপ্তাহেই কাবুলের ইউনাইটেন নেশনস অ্যাসিস্ট্যান্স মিশনের দফতরের সামনে জড়ো হয়েছিলেন কয়েকশো চিকিৎসক। তাঁরা ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের কাছে আবেদন জানান, তাঁদের বেতনের জন্য। গত ১৪ মাস ধরে তাঁরা বেতন পাননি বলে দাবি করেন। সেই সঙ্গেই জানান হাসপাতালগুলিতে ওষুধ নেই।
‘বাচ্চাদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে মলদ্বীপ গেছিলাম’, নবাব মালিকের আক্রমণের জবাবে সমীর ওয়াংখেড়ে
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের দাবি, এরকম ভাবে অর্থের অভাবে ধুঁকতে থাকা শিক্ষকের সংখ্যাটা সে দেশে ১৮ হাজার। তার মধ্যে ১০ হাজার মহিলা রয়েছেন। অগস্ট মাসে আফগানিস্তান তালিবান দখলে চলে যাওয়ার পর থেকে বেতন নেই তাঁদের।
একটি শিক্ষক সংগঠনের প্রদান মহম্মদ সাবির মাশালের কথায়, “বহু শিক্ষক জমিজমা, সম্পত্তি বিক্রি করতে শুরু করেছেন। অনেকের বেচার মতো কিছুই নেই। তাঁদের অন্নসংস্থান হওয়া দায়। অনেকে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু যাঁরা পালাতে পারেননি, তাঁরা না খেতে পেয়ে মরতে বসেছেন।”
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, তালিবানি দখলের পর থেকে দেশের ব্যাঙ্কগুলি বন্ধ। ফলে কয়েক লক্ষ মানুষ টাকাপয়সা নিয়ে বড় সমস্যার মুখে পড়েছেন। সরকারি কর্মীরা বেতনহীন। বেসরকারি সংস্থাগুলিও মাইনে দিতে পারছে না কর্মীদের। পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে।