
গত ৩ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন করেন, এই বছর কোভিডের কারণে সংযত হয়ে পালন করতে হবে আলোর উৎসব।
তিনি বলেন, “এবার কালীপুজোয় বাজি ফাটানো বা পোড়ানোর ক্ষেত্রে মানবিক হবেন সকলে। আমি বলব, বাজি ফাটানো বা বাজি পোড়ানোর দিকে যাবেন না। সবরকম বাজি এড়িয়ে চলতে হবে। নিষিদ্ধ বাজি তো ব্যবহার করবেনই না, অন্য কোনও বাজি পোড়ানোর দিকেও যাবেন না। এটা রাজ্যবাসীর কাছে আমাদের আবেদন।”
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় আরও মনে করিয়ে দেন, নিজেদের আনন্দ যেন অন্য কারও নিরানন্দ না হয়। কারণ এ বছর কোভিডের কারণে অনেকেই হোম আইসোলেশনে আছেন, অনেকে অসুস্থও। সেখানে বাজির শব্দ বা ধোঁয়া যে তাঁদের বিপদ বাড়াবে, তা বলাই বাহুল্য। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এবছর কোভিড পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে যেন বাজি না পোড়ানো হয়, সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি লিখেছে রাজ্যের চিকিৎসক সংগঠন।
গত ৫ নভেম্বর কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যে বাজি পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করে কলকাতা হাইকোর্টের গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। পরিবেশ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, কালীপুজো থেকে ছট পর্যন্ত বাজি পোড়ানো যাবে না। বিক্রিও করা যাবে না বাজি।
এদিন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ কার্যকর করার বিষয়টি পুলিশকে দেখতে হবে। দুর্গাপুজোয় মণ্ডপগুলি যেমন নো এন্ট্রি জোন করা হয়েছিল, তেমনই কালীপুজোর ক্ষেত্রেও করা হয়েছে।