
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জয়েন্ট এক্সাম মেইন পরীক্ষার সূচির কারণে উচ্চমাধ্যমিকের কয়েকটি পরীক্ষার দিন ইতিমধ্যেই বদল করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। কিন্তু বালিগঞ্জ ও আসানসোলের ভোট ঘোষণা হওয়ার ফলে নতুন জটিলতা তৈরি হয়েছে (HS Exam By Poll)। তা নিয়েই সোমবার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে বৈঠক করলেন শিক্ষাসচিব মনীশ জৈন।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ২ এপ্রিল। ১২ এপ্রিল বাংলার একটি লোকসভা ও একটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, নবান্নের তরফেও জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়েছে, ভোটের দিন পিছিয়ে দেওয়া যায় কি না তা বিবেচনা করতে।
‘আনিস হত্যায় শেষ দেখে ছাড়ব’, ফুরফুরার হুজুর মারফত আনিসের বাবাকে আশ্বাস মমতার
প্রথমে ঠিক ছিল ২০ এপ্রিল শেষ হবে উচ্চমাধ্যমিক। ২১ এপ্রিল থেকে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের মেইন পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। কিন্তু তা এগিয়ে আনা হয়। ফলে উচ্চমাধ্যামিকের বেশ কয়েকটি পরীক্ষার দিন বদল করতে হয়েছে সংসদকে।
এখন প্রশাসনের চিন্তা হচ্ছে ভোট করা। এমন অনেক বুথ রয়েছে যেগুলিতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়বে। ভোটের আগের দিন ১১ এপ্রিলও পরীক্ষা রয়েছে। ফলে পরীক্ষা করা তারপর সেই স্কুল বাড়ি স্যানিটাইজ করা, ভোটকর্মীদের রাখার বন্দোবস্ত করা—সব মিলিয়ে ঘেঁটে যাচ্ছে বলেই মত অনেকের।
যদিও নির্বাচন কমিশন কী করবে তা স্পষ্ট নয়। কারণ উপনির্বাচন শুধু বাংলায় হচ্ছে তা নয়। দেশের একাধিক রাজ্যে একই দিনে লোকসভা ও বিধানসভার উপনির্বাচন হবে। পরীক্ষার মধ্যে প্রচারের ক্ষেত্রেও নানান বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে। কিন্তু এখন সবচেয়ে বড় মাথা ব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভোট ও পরীক্ষার সূচির সংঘাত।