Latest News

Housefly Farming: কালো মাছি পুষেই পেটের ভাত জোগাচ্ছেন জাঙ্গিপাড়ার দম্পতি! ঘুচেছে অভাব

দ্য ওয়াল ব্যুরো: মধুর জন্য মৌমাছি চাষ নতুন নয়। তাই বলে জীবিকার জন্য কালো মাছি চাষ (Housefly Farming)! এমন অদ্ভুত চাষ করেই ডুবতে বসা সংসারকে বাঁচিয়ে নিলেন জাঙ্গিপাড়ার (Hooghly) মহম্মদ মোকিম।

বেকারির ব্যবসা ছিল তাঁর, করোনার সময় তার হাল হয় খুবই খারাপ। এক সময় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় ব্যবসা। এদিকে পাঁচ সন্তান আর আরও দুজন পালিত সন্তান নিয়ে সংসারে মোট ন’জন। স্বামী স্ত্রীর দিশাহারা অবস্থা। পেট চলবে কীভাবে তা ভেবেই পাচ্ছিলেন না কেউ।

আরও পড়ুন: ‘খালি নেগেটিভ আর নেগেটিভ! বাংলায় কি কিছুই ভাল নেই!’: মুখ্যমন্ত্রী

এই সময়েই পরিবেশবান্ধব বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ আর হাঁস মুরগি পালন শুরু করেন মোকিম ও তাঁর স্ত্রী। কিন্তু সেই চাষের খরচ সামাল দিতে অসুবিধায় পড়তে হয়। মাছ আর মুরগির খাবার কিনতে লাভের গুড় পিঁপড়েতে খাওয়ার অবস্থা। এরপরেই ইউটিউব দেখে মাছি চাষের (Housefly Farming) ভাবনা মাথায় আসে মোকিমের।

বেঙ্গালুরুতে থাকা এক পরিচিতের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়া থেকে ব্ল্যাক ডায়মন্ড ফ্লাই বা কালো মাছি নিয়ে আসেন তাঁরা। শুরু হয় মাছি চাষ। যে বেকারিতে বিস্কুট তৈরি হত সেখানেই প্লাস্টিক টবে মাছির ডিম থেকে লার্ভা তৈরি হয়। সেই লার্ভা মাছ ও মুরগির খাবার হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। নিজেদের প্রয়োজনও মিটছে আবার বাইরে রফতানি করে ভাল আয়ও হচ্ছে দম্পতির। অসম, ঝাড়খণ্ড, ত্রিপুরা থেকেও অর্ডার আসছে এই মাছির লার্ভার।

মোকিমের কথায়, এভাবে মাছি পোষায় খরচও কম। লার্ভার খাবার হল পচা সবজি, মাছ-মাংসের ফেলে দেওয়া বর্জ্য। এর ফলে পরিবেশও পরিচ্ছন্ন থাকে। কালো মাছি থেকে পরিবেশের কোনও ক্ষতি হয় না। জীবিত মাছি পাখির খাবার আর মরা মাছি মুরগি খায়।

সাধারণত গরমকালে ১৪-১৬ দিনের মধ্যে ডিম থেকে লার্ভা তৈরি হয়। শীতকালে সেটায় সময় লাগে ২৫-৩০ দিন। ২ গ্রাম ডিম থেকে ২০ কেজি লার্ভা পাওয়া যায়। মুরগি এবং মাছের খাদ্য হিসাবে যার খুবই চাহিদা রয়েছে।

তাঁর কথা জানতে পেরে অনেকেই খোঁজ নিচ্ছেন কী করে এই মাছি চাষ করা যায়। কখনও ফোনে কখনও ভিডিও কলে মাছি চাষের পাঠ দিচ্ছেন মোকিম। নিজে শিখতে গিয়ে অনেকবার ভুল করেছেন। তবে গত দশ এগারো মাসে বেশ পটু হয়ে উঠেছেন তাঁরা।

মাছি মানেই ভন ভন শব্দ আর ঘিনঘিনে ব্যাপার। তবে জাঙ্গিপাড়ার মোকিম সেই মাছি চাষ করেই দারিদ্রের অন্ধকার কাটিয়ে এখন আলোর দিকে এগিয়ে চলেছেন।

You might also like