
দ্য ওয়াল ব্যুরোঃ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে স্কুল কলেজ খুলে গেছে মঙ্গলবার থেকেই। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ফিরেছে বহুদিনের চেনা ছবি। মাস্ক পরে স্যানিটাইজার নিয়েই এদিন কলেজে বসে ক্লাস করেছেন ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু ক্লাসে ফিরতে পারলেও অনেকের থাকার জায়গা এখনও অনিশ্চিত।
কলেজ খুললেও এখনও হোস্টেলের (Hostel) দরজা খোলেনি। যার ফলে দূর-দূরান্ত থেকে শহরের কলেজে পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
কলকাতার মতো শহরে এসে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁদের কাছে হোস্টেলই ভরসা। কিন্তু সেই হোস্টেলই এখনও বন্ধ।
প্রেসিডেন্সি শুধু নয় শহরের অনেক কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়েই অফলাইন ক্লাস চালু হলেও হোস্টেল পরিষেবা এখনও চালু করা যায়নি কোথাও। ফলে দূর থেকে আসা ছাত্রছাত্রীদের অধিকাংশকেই থাকার জন্য ভাড়া বাড়ির খোঁজ করতে হচ্ছে। কেউ কেউ খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরেছেন কলকাতায় আত্মীয়স্বজনের বাড়ি।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এদিন থেকে থার্ড সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হয়েছে। সেখানেও বহু ছাত্রছাত্রী ক্লাসে যোগ দিতে পারেনি। আর থার্ড সেমিস্টারের পড়ুয়াদের জন্য ক্যাম্পাস এখনও খোলেনি। কারণ, হস্টেল দেওয়ার ব্যবস্থা হয়নি।এখনও।
স্কটিশ চার্চ কলেজে মিজোরাম থেকে পড়তে এসেছেন জলি আর স্যামুয়েল। হোস্টেল না থাকায় মহা সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। কলেজে না এসেও উপায় নেই। প্র্যাকটিকাল ক্লাস করতে হবে যে!
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা গেল অনেক ছাত্রছাত্রীই কলেজে আসতে চাননি। অনলাইনে ক্লাস করতে চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ইমেল করেছেন তাঁরা। জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হলে তবেই তাঁরা ক্লাসে আসবেন। জনা পঞ্চাশেক পড়ুয়ার থেকে এই মেল পেয়েছে প্রেসিডেন্সি। হোস্টেল না খোলায় কলেজে এসে ক্লাস করা সম্ভব হচ্ছে না অনেকের কাছেই।
কিন্তু হোস্টেল সমস্যা মিটবে কবে? সদুত্তর নেই কর্তৃপক্ষের কাছে। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার দেবজ্যোতি কোনার বলেছেন, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে ছাত্রছাত্রীরা পড়তে আসে। তাদের থাকার ব্যবস্থা সমস্যার। এই বিষয়টি বেশ চ্যালেঞ্জিং। আমাদের একজন অফিসার আছেন যিনি এটি দেখেন। এর সঙ্গে গোটা প্রক্রিয়া স্বাভাবিক করার জন্য আরও অনেক রকমের চ্যালেঞ্জ আছে। কীভাবে এগোনো হবে, সেটা সকলেই দেখছেন। স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া চলছে।
সূত্রের খবর, হোস্টেলের ভিতরে করোনাবিধি কীভাবে বজায় রাখা হবে তা নিয়ে এখনও স্থির সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তাই হোস্টেল খুলতে দেরি হচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হোস্টেল খুলে দেওয়ার দাবি উঠতে শুরু করেছে পড়ুয়াদের তরফে।