
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গৃহযুদ্ধ বাধিয়ে ছেড়েছিলেন তিনি।
২৫ অগস্ট, ২০১৭। পাঁচকুলার সিবিআই আদালতের বাইরে উপস্থিত কয়েক হাজার জনতা যে মুহূর্তে শুনেছিলেন খুন ও ধর্ষণের মামলায় বাবা রামরহিমকে ২০ বছরের জন্য জেলে যেতে হচ্ছে তখনই শুরু হয়েছিল তাণ্ডব। গাড়ি জ্বললো, বাড়ি জ্বললো, মরলো মানুষ। গোটা উত্তর ভারত জুড়ে ছড়িয়ে পড়ল আগুন। কিন্তু খুঁজে পাওয়া গেল না স্বঘোষিত ধর্মগুরু, ডেরা সাচ্চা সৌদা বাবা রাম রহিমের পালিতা কন্যা হানিপ্রীত ইনসানকে। চণ্ডীগড় পুলিশ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে বাবার মেয়ের বিরুদ্ধে। তারপর দিন কয়েক বাদে পুলিশের জালে ধরা পড়েন হানিপ্রীত। প্রশাসন জানায়, ডেরা সমর্থকরা যে হিংসার ঘটনা ঘটিয়েছিল তার ব্লুপ্রিন্ট ছকে ছিলেন হানিপ্রীতই।
পড়ুন এটাও: চিমাকে নিয়ে চমকাতে এসেছিল রত্না, বিস্ফোরক শোভন
ডেরার বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে আপাতত হানির ঠিকানা অম্বালা জেল। কিন্তু জেল জীবন কেমন কাটছে রামরহিমের পালিতা কন্যার?
তিনি এখন ফ্যাশন ডিজাইনিং, বিউটি টিপস, ব্লক প্রিন্টিং-এর বাধ্য ছাত্রী। অন্য কয়েদিদের সঙ্গে শিখছেন পোশাক তৈরির কারুকার্য, আর নিজেকে সুন্দরী করে তোলার সাত-সতেরো। বাবা রামরহিম অভিনীত‘মেসেঞ্জার অফ গড’ ছবির প্রযোজক হানিই ছিলেন ওই ছবির কস্টিউম ডিজাইনার। ফলে এটা তাঁর সহজাত।
সংশোধনাগারে বিচারাধীন বন্দীদের নানা কাজে ব্যস্ত রাখাটাই এখন আইন। অপরাধ জগৎ থেকে মানসিক দূরত্ব তৈরি করার ধারাবাহিক প্রয়াস সর্বত্র স্বীকৃত। ঠিক যে কারণে সংশোধনাগারের ‘মুক্তধারা’য় নাইজেল আকারা এখন ভিলেন থেকে স্টার। অম্বালা জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সবার সঙ্গে মিলেমিশে ক্লাস করছেন হানিপ্রীত। তিনটে কোর্সে নাম লিখিয়েছেন তিনি।