
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবী থেকে আবেদনকারীর আইনজীবী—এদিনের শুনানিতেও রাজ্য সরকার, পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ জানিয়েছেন। বলা হয়েছে, এখনও হিংসা চলছে, খুন হচ্ছেন মানুষ, ঘরবাড়ি জ্বলছে, কিন্তু পুলিশের কোনও মাথাব্যথাই নেই।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবী আদালতে এদিন বলেছেন, আদালতের নির্দেশের পরেও অনেক অভিযোগ গ্রহণ করেনি রাজ্য পুলিশ। অনেকে অভিযোগ জানাতে গিয়ে থানা থেকে ফিরে এসেছেন। তাঁদের কথাই শোনেনি পুলিশ। তিনি এও বলেন, মহিলাদের উপর শারীরিক অত্যাচার হচ্ছে। যে মহিলারা অভিযোগ জানাতে থানায় যাচ্ছেন, তাঁদের শাসকদলের লোকজন ভয় দেখাচ্ছে।
ভোটের ফল ঘোষণার দিনই রাতে বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুন হয়েছিলেন। তাঁর দেহ দু’বার করে ময়নাতদন্তের পর পরিবার আদালতে জানিয়েছিল, তাঁরা অভিজিতের দেহ শনাক্ত করতে পারেনি। এরপর হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল অভিজিতের ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে।
পরিবারের সন্দেহ, অন্য কারও দেহকে অভিজিতের দেহ বলে চালিয়েছে পুলিশ। হাইকোর্ট যে ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল তার ভিডিও গ্রাফি আজ আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
এমনিতেই কমিশনের এই রিপোর্ট নিয়ে রাজ্য সরকারের উপর চাপ তৈরি হয়েছে। কারণ, কমিশন তাদের রিপোর্টে নটোরিয়াস ক্রিমিনালের তালিকায় রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, দিনহাটার তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহর নাম রয়েছে। যদিও শাসকদলের বক্তব্য, এই রিপোর্ট উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে এই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ নবান্নের উপর নতুন করে চাপ বাড়াবে বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকদের অনেকে।