
দ্য ওয়াল ব্যুরো : পদাতিক সেনা, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করতে গিয়ে নানা সমস্যা হয়েছিল। তবে ধীরে ধীরে সব সমস্যাই কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে। সোমবার কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে মন্তব্য করলেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত। চলতি বছরেই তিন বাহিনীর সমন্বয় করার কাজ শুরু হয়। বহু দশক বাদে সেনাবাহিনীতে এত বড় সংস্কার হল। বিপিন রাওয়াত বলেন, এর ফলে খরচ কমবে। সেনাবাহিনীর তিন শাখা যৌথভাবে কাজ করতে পারবে।
চিফ অব ডিফেন্স স্টাফের কথায়, “তিনটি বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করার জন্য আমাদের পরস্পরের সম্পর্কে জানতে হয়েছিল। প্রতিটি বাহিনী কীভাবে কাজ করে বুঝতে হয়েছিল।” গত জানুয়ারি মাসে বিপিন রাওয়াত চিফ অব ডিফেন্স স্টাফের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর তাঁকে ডিপার্টমেন্ট অব মিলিটারি অ্যাফেয়ার্সের প্রধান করা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।
এদিন কলকাতায় নৌবাহিনীর গাইডেড মিসাইল স্টেলথ ফ্রিগেটের উদ্বোধন করেন জেনারেল রাওয়াত। পরে তিনি বলেন, “জলে, স্থলে বা আকাশে, যেখানেই যুদ্ধ হোক, সেনাবাহিনীর তিন শাখার সমন্বয় জরুরি। প্রতিটি বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আছে। যুদ্ধের সময় তারা একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠতে পারে।”
শনিবারই জানা যায়, সীমান্তে ১৫ দিন তীব্র যুদ্ধ চালানোর জন্য অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা করছে ভারতীয় সেনা। এর আগে চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে দু’টি ফ্রন্টে যুদ্ধ চালানোর জন্য ১০ দিনের উপযোগী অস্ত্র ও গোলাবারুদ জড়ো করেছিল সেনাবাহিনী। একটি সূত্রে খবর, চিন সীমান্তে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ভারত সরকার ৫০ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র ও যুদ্ধের অন্যান্য সরঞ্জাম কিনতে পারে।
বহু আগে সীমান্তে ৪০ দিন যুদ্ধ চালানোর উপযোগী অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা করে রাখা হত। পরে যুদ্ধের চরিত্র বদলে যায়। তখন ১০ দিনের উপযোগী অস্ত্র ও গোলাবারুদ সঞ্চয় করে রাখা হতে থাকে। সেই সময় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর প্রধানরা ১০০ কোটি টাকার অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম কিনতে পারতেন। কিন্তু উরিতে পাকিস্তানের হামলার পরে তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পরিকর তিন বাহিনীর প্রধানদের ৫০০ কোটি টাকার অস্ত্র ও সরঞ্জাম কেনার অধিকার দেন।
লাদাখ সীমান্তে চিনের সঙ্গে বিরোধ মেটার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এর মধ্যে জানা যায়, উত্তর-পূর্ব ভারতের কয়েকটি জঙ্গি গোষ্ঠীকে সমর্থন করছে চিন। অক্টোবরের মাঝামাঝি চার মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি নেতা চিনের কুনমিং শহরে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা চিন থেকে অস্ত্রশস্ত্র আনতে গিয়েছিলেন।