
ম্যাচে ব্রেক থ্রু ঘটিয়েছেন মহারাষ্ট্রের এই ৩০ বছরের বোলার। দলে শামি, বুমরার মতো পেসার, তাঁদের পাশে শার্দুল বুঝিয়েছেন তিনিও লম্বা রেসের ঘোড়া। মাক্রামকে গতকাল শামি ফেরানোর পরে এদিন সকালে প্রথম উইকেট নিয়েছেন শার্দুলই। তিনি ফেরান প্রোটিয়া বাহিনীর দলনেতা ডিন এলগারকে (২৮)।
ঋষভকে সহজ ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এলগার। তারপরেই জো বার্গে লর্ডের ভূমিকায় অবতির্ণ হলেন ঠাকুর। এলগারের পর একে একে সাজঘরে ফেরত পাঠালেন সেট পিটারসেন এবং রাসি ভ্যান ডার দাসেনকে। গোল্ডেন আর্মের কেরামতিতে তিনি হয়ে উঠেছিলেন অপ্রতিরোধ্য।
The best bowling figures by an India player against South Africa 🔥 #SAvIND
Shardul Thakur wraps up the innings with a seven-wicket haul 😮
— ESPNcricinfo (@ESPNcricinfo) January 4, 2022
সোশ্যাল মিডিয়ায় শার্দুল বন্দনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তাঁকে নিয়ে প্রশংসা করছেন বিশেষজ্ঞরাও। ওয়াসিম জাফরের মতো প্রাক্তন ওপেনার লিখেছেন, লর্ড শার্দুলের বোলিং দেখে মুগ্ধ হতে হয়। আসল সময়ে তাঁর ঝুলি থেকে বেরিয়েছে সেরা অস্ত্র।
এর আগে শার্দুলের মতোই ইনিংসে ওয়ান্ডারার্সে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন শ্রীনাথ, কুম্বলেরা। এমনকি একই দলে থাকা অশ্বিন, বুমরা, শামিও একই কৃতিত্বের অধিকারী। কিন্তু এদিন প্রোটিয়া বাহিনীর ব্যাটিং ইনিংস শেষে দেখা গিয়েছে শার্দুল একাই পেয়েছেন সাত উইকেট, তিনি পূর্বসূরীদের ছাপিয়ে গিয়েছেন।
১৯৯২-৯৩’এর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে জোহানেসবার্গে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে প্রথম এক ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন অনিল কুম্বলে। তিনি ৫৩ রানের বিনিময়ে ৬টি উইকেট দখল করেন। তিনিই একমাত্র ভারতীয় স্পিনার, যাঁর ওয়ান্ডারার্সে ৫ উইকেট নেওয়ার নজির রয়েছে।
১৯৯৬-৯৭ মরশুমে ওয়ান্ডারার্সে ১০৪ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট দখল করেন শ্রীনাথ। তিনিও ভারতীয় দলের সেইসময় একনম্বর বোলার ছিলেন।
২০০৬-০৭ সালে এই মাঠেই এক ইনিংসে ৪০ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট দখল করেন এস শ্রীসান্থ। ২০১৭-১৮ মরসুমে বুমরাও ৫৪ রানে ৫ উইকেট দখল করেন। ওইবছরই একই মাঠে শামি নেন ২৯ রানে ৫ উইকেট।