
মঙ্গলবার বিধায়ক একটি টিকাকরণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন। তখনই কৃষকদের সঙ্গে তাঁর বচসা শুরু হয়। কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন, বিধায়করা যেন তাঁদের নির্বাচন কেন্দ্র ছেড়ে না যান। কৃষকদের আশঙ্কা, বিধায়করা তাঁদের একাংশকে টোপ দিয়ে আন্দোলন থেকে সরাতে চাইবেন।
তোহানায় বাল্লিয়ালা রেস্ট হাউসে মঙ্গলবার বাবলির সঙ্গে কৃষক নেতাদের কথা হয়। বৃহস্পতিবার কৃষকরা বিধায়কের কুশপুতুল দাহ করেন। তাঁরা দাবি করেন, বিধায়ক যে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন, সেজন্য তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। মঙ্গলবার বিধায়কের সঙ্গে বচসার পরে কৃষকদের বিরুদ্ধে দু’টি এফআইআর হয়। বুধবার কৃষকরা বাবলির বাড়ি ঘেরাও করেছিলেন। সেজন্য আর একটি এফআইআর হয়।
কৃষকরা বলেছেন, বিধায়ক যদি ক্ষমা না চান, তাহলে তাঁরা হরিয়ানা জুড়ে থানা ঘেরাও করবেন। কৃষক নেতা গুরনাম সিং চাদুনি আবেদন জানিয়েছেন, আন্দোলন যেন শান্তিপূর্ণ পথে পরিচালিত হয়। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর বলেন, কৃষকরা আন্দোলন করলে তাঁর আপত্তি নেই। কিন্তু কেউ যেন আইনশৃঙ্খলা নিজের হাতে তুলে না নেয়।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে সংসদে তিন কৃষি আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই কৃষকরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। এই আইন মানতে তাঁরা নারাজ। পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলের কৃষকরা দিল্লির তিনটি সীমান্ত অঞ্চলে গিয়ে জড়ো হয়ে একটানা অবস্থান করে চলেছেন। বহু বাক-বিতন্ডার পরও এখনও অবধি তাঁদের দাবির কোনও মীমাংসা হয়নি।
এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, “বৃহত্তর সমস্যার সমাধান রাস্তা অবরোধ করে হয় না। এর জন্য বিচারবিভাগ, প্রশাসন এবং রাজনীতির দ্বারস্থ হতে হয়।” পরোক্ষে এই নিদান যে কৃষক আন্দোলনের উদ্দেশেই, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। কারণ, এর সঙ্গেই সুপ্রিম কোর্টের সংযোজিত নির্দেশ, যা-ই হোক না কেন, রাস্তা অবরোধ করে সাধারণ মানুষের অসুবিধে ঘটানো অনুচিত।