
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হাঁসখালির ১৪ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে, খুন করার পর দেহ দাহ করে দেওয়া নিয়ে যখন নিন্দার ঝড় বইছে তখন সোমবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য যেন আগুনে ঘি দেওয়ার উপক্রম ঘটায় (Hanskhali Mamata)। বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণ উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “মেয়েটি মারা গিয়েছে ৫ তারিখ। অভিযোগ দায়ের হয়েছে ১০ তারিখে। কেন আগে অভিযোগ দায়ের করলেন না। কেন বডিটা পুড়িয়ে দিলেন। আমি সবটা না জেনেই বলছি—আসলে রেপ হয়েছে, না প্রেগন্ট্যান্ট ছিল, নাকি অন্য কোনও কারণ ছিল, নাকি কেউ ধরে ধরে চড় মেরেছে, বা শরীরটা খারাপ হয়েছে? লাভ অ্যাফেয়ার্স তো ছিলই, বাড়ির লোকেরা তা জানত, পাড়ার লোকেরাও তো জানত”।
আরও পড়ুন: ‘খালি নেগেটিভ আর নেগেটিভ! বাংলায় কি কিছুই ভাল নেই!’: মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বইছে (Hanskhali Mamata)। এমনকি মমতার ওই মন্তব্যের পর যুব তৃণমূলের নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য একটি চার লাইনের কবিতাও লিখেছেন। তাতে এই তরুণ নেতাটি লিখেছেন—অনেকটা ব্যথা আর কষ্টের একফালি/ দেহময় লজ্জার সবটাই হাঁসখালি/ বেঁচে ওঠ বোন আমার, বাকি আছে কত স্বাদ/ জেগে উঠে জোরে বল, “পচে মর জল্লাদ”!
দেবাংশু তো তবু গর্জে উঠলেন। কিন্তু বাংলার বিশিষ্ট জনেরা কী বলছেন?

দ্য ওয়াল-এর তরফে কবি সুবোধ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি প্রশ্ন শুনেই বলেন, “আমি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাইছি না। কারণ, ব্যাপারটা খুব ভাল জানি না! যেটা জানি না সেটা নিয়ে বলা ঠিক হবে না।”
মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “কলকাতা থেকে অনেক দূরে রয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী কী বলেছেন ঠিক জানি না। বুধবার কলকাতায় ফিরব।”
গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তীর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছিল। সামাজিক অবক্ষয়, অন্যায়-অবিচার নিয়ে যাঁর গান গর্জে উঠেছে ধারাবাহিক ভাবে। সেই তিনি বলেন, “কোন কেস এটা? ঠিক জানি না। রাস্তায় আছি।”
চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যথেষ্ট দায়িত্বশীল। ভূভারতে তাঁর মতো শাসক নেই। হাঁসখালির ঘটনা সম্পর্কে বলতে পারি, এটা জঘন্যতম ঘটনা। প্রেম বা অ্যাফেয়ার্স থাকলে আমি কাউকে ধর্ষণ করে খুন করতে পারি না। এটা ভয়ঙ্কর বাজে ঘটনা। অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।”
জুন মালিয়া বলেন,“একটু পরে ফোন করব? প্লিজ, আপনাকে একটু পরে ফোন করে নিচ্ছি।” তাঁকে সোমবার রাত আটটা ২৮ মিনিটে ফোন করা হয়েছিল। তারপর রাত ন’টা কুড়ি মিনিট পর্যন্ত তিনি ফোন করেননি। পরে তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেলে এই প্রতিবেদনে আপডেট করা হবে।
এ ছাড়াও কবি শ্রীজাত, অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করা হয়েছিল। তাঁরা ফোন ধরেননি। ফোন বেজে গিয়েছে কবীর সুমনেরও। পরিচালক রাজ চক্রবর্তীকে ফোন করা হলে কয়েক সেকেন্ড হনুমান চলিশার গান বাজার পর তিনি কেটে দেন।