
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ‘আঠারো মাসে বছর’, ‘লেট লতিফ’ কথাগুলি রাজনীতিতে কংগ্রেসের জন্য বরাদ্দ বলা চলে। এমনই ঢিলেঢালা পার্টির কাজকর্ম। সেই কংগ্রেসকে বিগত কয়েক মাস যাবৎ চেনাই যাচ্ছে না গুজরাতে। লাগাতার মিটিং, মিছিল, আইন-অমান্য আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি শুক্রবার তারা আসন্ন বিধানসভা ভোট নিয়ে বড় ঘোষণা করল। ডিসেম্বরে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ভোট নেওয়া হবে সে রাজ্যে (Gujarat Assembly Election)।
আজ কংগ্রেস (Congress) জানিয়েছে, তারা ক্ষমতায় এসে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত কৃষি ঋণ (Agriculture Loan) মকুব করে দেবে। এছাড়া চাষের কাজে কৃষকদের দিনে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুতের জোগান দেবে। গুজরাত কংগ্রেসের সভাপতি জগদীশ ঠাকুর আরও বলেছেন, তাঁরা ন্যূনতম সমর্থন মূল্যের নিচে কৃষি পণ্য কেনা নিষিদ্ধ করতে একটি আইন চালু করবে।
গুজরাতে দীর্ঘদিন কংগ্রেস ক্ষমতায় নেই। একটা সময় বলা হত, নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) জনপ্রিয়তাই গুজরাতে বিজেপিকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছে। কিন্তু মোদী রাজ্য ছেড়ে প্রায় নয় বছর দেশের প্রধানমন্ত্রী। গুজরাতে তবু কংগ্রেস সুবিধা করতে পারেনি। গতবার তীরে এসে তরী ডুবেছিল। এবার আবার কংগ্রেসের ব্যর্থতার সুযোগ নিয়ে গুজরাতে মাথা তুলতে মরিয়া আম আদমি পার্টি (Aam Admi Party)। তারা একদিকে যেমন লড়াইকে ত্রিমুখী করে তুলেছে, তেমনই দিল্লি ও পাঞ্জাবের মতো ঢালাও সুবিধা দেওয়ার কথা বলছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মনীশ সিসোদিয়ারা। এই পরিস্থিতির মধ্যেও কংগ্রেস এবার লড়াইয়ের মুডে আছে এখনও পর্যন্ত। গত মাস ছয়েকের মধ্যে রাহুল গান্ধী চারবার গুজরাট গিয়েছেন। কংগ্রেস ঠিক করেছে তারা গুজরাটের ভোটে নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে তাঁকে লড়াইয়ে টেনে আনবে না। বরং ইতিবাচক কথা দিয়ে ভোট চাইবে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘গুজরাটের কৃষকদের উপর বিপুল ঋণের বোঝা। তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর পরিবর্তে বিজেপি সরকার শিল্পপতিদের ঋণ মকুব করেছে। আমরা ঠিক করেছি, ক্ষমতায় আসার পর প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে, কংগ্রেস তিন লক্ষ টাকার নীচে সমস্ত কৃষি ঋণ মকুব করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
কংগ্রেসের দেওয়া অন্যান্য প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে রাজ্যের সমবায় সংস্থাগুলিতে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ। কংগ্রেস আরও বলেছে তারা ক্ষমতায় এসে গবাদি পশু পালনকারীদের ‘কৃষক’ হিসাবে ঘোষণা করবে। যাতে তারা কৃষকদের জন্য বরাদ্দ সুবিধাগুলি পেতে পারে।
গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি বিধানসভায় ৯৯টি আসন পায়। যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে মাত্র সাতটি আসন বেশি। কংগ্রেস পায় ৭৭টি আসন।