
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জুন মাসেই পাহাড়ে বহু প্রতীক্ষিত জিটিএ (GTA) নির্বাচন করতে চায় রাজ্য সরকার। পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবিও দীর্ঘদিনের। জিটিএ-র পর গোটা রাজ্যের সঙ্গে সেই নির্বাচনপর্বও মিটিয়ে ফেলতে চায় রাজ্য সরকার। প্রথমে জিটিএ (গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল এডমিনিস্ট্রেশন) এবং শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোট হবে। ভোট করানোর বিষয়ে দিনক্ষণ ঠিক করতে ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেছে সরকার।ওই ভোট মেটার পর পাহাড়ের পঞ্চয়েত ভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তৃণমূলের তরফে বহুবার দাবি করা হয়েছে, দীর্ঘদিন ভোট না হওয়ায় পাহাড়ের পঞ্চায়েত ব্যবস্থা কার্যত অচল। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৫ সালে পাহাড়ে পাঁচটি পঞ্চায়েত সমিতি ও ৭০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়। তারপর পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন আর হয়নি। ফলে গ্রামীণ উন্নয়ন কার্যত থমকে। তাই প্রথমে জিটিএ (GTA) এবং শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোট হবে। তারপর পঞ্চায়েত ভোট করানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতমাসে পাহাড় সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে পাহাড়ের প্রায় সবকটি দলকে নিয়ে একটি বৈঠক করেন তিনি। পুরভোটে জিতেছে হামরো পার্টি। মুখ্যমন্ত্রী ওই দলকে অভিনন্দন জানান। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘সকলেই চাইছেন জিটিএর নির্বাচন হোক। দার্জিলংয়ে পুরভোটে হয়েছে। মে মাসে আরও ২–৩ পুরসভার ভোট হয়ে যাবে। নির্বাচনের মাধ্যমেই পাহাড়ের মানুষ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করুন, এটাই আমি চাই।’
অন্যদিকে, দিন তিনেক আগে শিলিগুড়ির সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, জিটিএ ভোট করে কোনও লাভ হবে না। পাহাড় সমস্যার আসলে রাজনৈতিক সমাধান দরকার। কিন্তু কোনপথে রাজনৈতিক সমাধান আসতে পারে বলেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ফলে জিটিএ ভোট নিয়ে বিজেপি কী অবস্থান নেয় সেটাও দেখার।
উল্লেখ্য, দার্জিলিংয়ে এই মুহূর্তে শুধু পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’টি স্তর। সংশোধনী এনে সেখানে জেলা পরিষদ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।
১ টাকা করে চাঁদা নিয়ে সিপিএমের যুব সংগঠন ২৯ লক্ষ টাকা তুলল সম্মেলনের জন্য