
দ্য ওয়াল ব্যুরো : শুক্রবার জিএসটি কাউন্সিল অর্থাৎ পণ্য ও পরিষেবা কর পরিষদের ৩৫ তম বৈঠক হয়। তাতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মানুষ যাতে আগের চেয়ে সহজে রেজিস্ট্রেশন করতে পারে ও রিটার্ন ফাইল করতে পারে, সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জিএসটিতে রেজিস্ট্রেশনের জন্য যে পরিচয় ও ঠিকানার প্রমাণ দিতে হয়, এবার থেকে তা আধার কার্ডের মাধ্যমে করা যাবে। আর কোনও প্রমাণ লাগবে না। একবার পাসওয়ার্ড দিয়েই পুরো প্রক্রিয়ার অথেনটিকেশন সম্ভব হবে।
এর আগে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে স্থির হয়েছিল, যে সব ব্যবসায় বছরে ৪০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি লেনদেন, কেবল সেক্ষেত্রেই জিএসটি রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। তার আগে বছরে ২০ লক্ষ টাকার বেশি টার্নওভার হলেই রেজিস্ট্রেশন করাতে হত। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত সকলে বলেন, যে সব ব্যবসায় টার্নওভার ৪০ লক্ষের বেশি, কেবল তাদের রেজিস্ট্রেশন করাতে বলাই যুক্তিসঙ্গত।
এর পাশাপাশি জাতীয় অ্যান্টি প্রফিটিয়ারিং অথরিটির সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। ২০২০ সালের শেষে তার মেয়াদ ফুরোবে। একইসঙ্গে কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে বার্ষিক রিটার্ন ফর্ম জিএসটিআর ৯, ৯এ এবং ৯সি জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়ে ২০১৯-এর ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত করা হল। আগে এই সময়সীমা ছিল ৩০ জুন।
২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সিঙ্গেল রিটার্ন ফাইলিং সিস্টেম চালুর প্রস্তাব কাউন্সিল অনুমোদন করেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তা কীভাবে কার্যকরী হবে, তা জানানো হবে শীঘ্র।
একইসঙ্গে কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ই-ভেহিকল ও তার চার্জারের ওপর থেকে জিএসটি রেট কমানো হবে। কী হারে রেট কমানো যায়, তা স্থির করার দায়িত্ব দেওয়া হবে নির্দিষ্ট কমিটিকে। সেই কমিটি জিএসটি কাউন্সিলের পরবর্তী বৈঠকে তার সুপারিশ পেশ করবে।