
দ্য ওয়াল ব্যুরো: স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ রেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। অর্থাৎ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের বিনিময়ে পরিষেবা দেওয়ার জন্য সরকারের তরফে হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিতে যত টাকা দেওয়া হচ্ছিল সরকারের তরফে, তা বাড়ানো হবে ১৫-১০ শতাংশ।
আজ, মঙ্গলবার, নবান্ন থেকে রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসক, স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই এই রেট বৃদ্ধি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানান মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্যসচিব।
আলাপনবাবু এদিন সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা সমস্ত হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের সঙ্গে আজ বৈঠকে বসেছিলাম। তাদের তরফে আমাদের আগেই জানানো হয়েছিল, স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবায় রেট যেন বাণিজ্যসম্মত হয়, পরিষেবা দিতে গিয়ে আর্থিক ক্ষতি যেন না হয়৷ আমরা তাদের আবেদন মেনে যতটা সম্ভব বাড়িয়েছি রেট।”
এদিন স্বাস্থ্যসচিব বলেন, “এতদিন মোট দেড় কোটি বেশি পরিবার এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় এসেছিলেন। এর পরে আরও ৬৭ লাখ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পেন থেকে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মোট ২ কোটির অধিক পরিবার এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেয়েছেন এখনও পর্যন্ত। আরও ৮০ লাখ কার্ড আমরা খুব শ্রীঘ্রই দেওয়ার টার্গেট নিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “গত বছর ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪ লক্ষ ৩৪ হাজার মানুষ এই স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের পরিষেবা নিয়েছেন।এখনও পর্যন্ত মোট ১৫৩৭টি হাসপাতালকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় নিয়ে এসেছি, যার মধ্যে ৪২৫টি নতুন।” পাশাপাশি মুখ্যসচিব দাবি করেন, প্রতিদিন গড়ে ৭ কোটি টাকা এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পরিষেবার জন্য সরকারের তরফে খরচ করা হচ্ছে।
এবার সেই বরাদ্দ আরও বাড়ানো হল। বস্তুত, কয়েক দিন ধরেই রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে অভিযোগ আসছিল, একাধিক হাসপাতাল ফিরিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও। যদিও মুখ্যমন্ত্রী নিজে বারবারই হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে কোনও ভাবেই পরিষেবা না দিয়ে রোগী ফেরানো যাবে না, তার পরেও অভিযোগ আসছিল বারবার। শেষমেশ সব দিক বিবেচনা করেই রেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার, যাতে আর্থিক ক্ষতির কারণে পরিষেবা না দেওয়ার ঘটনা না ঘটায় কোনও নার্সিংহোম বা হাসপাতাল।
এখন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রোগী-পরিষেবা আরও ভাল হয় কিনা, সেটাই দেখার।