
দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বাঁচানোর জন্য কিছুদিন আগে ৭০ হাজার কোটি টাকার পুনরুজ্জীবন প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল। তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি। দু’টি সংস্থারই বিপুল পরিমাণ জমি আছে। সরকারি সূত্রে খবর, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা কয়েক হাজার একর জমির মালিক দু’টি সংস্থা। এই জমিই দফায় দফায় বিক্রি করবে সরকার। একসময় দু’টি সংস্থার টাওয়ার বিক্রি করার কথাও ভাবা হয়েছিল। পরে অবশ্য সেই উদ্যোগ নিয়ে সরকার বেশি দূর এগোয়নি।
কেন্দ্রীয় সরকার স্থির করেছে, আগামী চার বছরে মোট ছ’লক্ষ কোটি টাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির সম্পদ বিক্রি করা হবে। যে সম্পদ বিক্রি করা হবে, তার মধ্যে আছে রাস্তা, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, গ্যাসের পাইপলাইন, গুদাম, রেলওয়ে, টেলিকম, ২৫ টি বিমান বন্দর, ন’টি গুরুত্বপূর্ণ বন্দরের ৩১ টি প্রকল্প, কয়লা এবং বিভিন্ন ধাতুর খনি এবং স্পোর্টস স্টেডিয়াম।
গত অক্টোবরের শুরুতে এয়ার ইন্ডিয়া কেনে টাটা সন্স। মোট চারটি সংস্থা ওই এয়ারলাইন্স কিনতে চেয়েছিল। তাদের মধ্যে টাটার দেওয়া দরই ছিল সবচেয়ে বেশি। টাটা ১৮ হাজার কোটি টাকা দিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার মালিক হতে চলেছে। একসময় টাটা সন্সই এয়ার ইন্ডিয়ার মালিক ছিল। ৫০ বছর আগে কেন্দ্রীয় সরকার সংস্থাটি অধিগ্রহণ করে। টাটা ফের এয়ার ইন্ডিয়া এবং এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ১০০ শতাংশ শেয়ারের মালিক হচ্ছে। একইসঙ্গে তারা গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কোম্পানিরও ৫০ শতাংশ শেয়ার পাচ্ছে। এয়ার ইন্ডিয়া কেনার জন্য টালাস প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক স্পেশাল পারপাস ভেহিকল তৈরি করেছিল টাটা সন্স। সংস্থার সচিব তুহিনকান্তি পাণ্ডে জানিয়েছেন, তাঁরা এয়ার ইন্ডিয়া কেনার প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছেন।
২০২১ সালের ৩১ অগাস্ট এয়ার ইন্ডিয়ার মোট ঋণ ছিল ৬১ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা। তার মধ্যে ১৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা শোধ করবে টাটা সন্স। বাকি ৪৬ হাজার ২৬২ কোটি টাকা শোধ করবে এয়ার ইন্ডিয়া অ্যাসেট হোল্ডিং লিমিটেড নামে সরকারের এক স্পেশাল পারপাস ভেহিকল।