Latest News

১৫ বছরের বেশি পুরানো গাড়ি স্বেচ্ছায় বাতিল করার প্রকল্প ঘোষিত বাজেটে

দ্য ওয়াল ব্যুরো : লক্ষ্য দু’টি। প্রথমত গাড়িতে কম তেল ব্যবহার করা। দ্বিতীয়ত পরিবেশ দূষণ কমানো। সেজন্য সোমবার কেন্দ্রীয় বাজেটে ‘ভলান্টারি ভেহিকল স্ক্র্যাপিং পলিসি’ বা স্বেচ্ছায় গাড়ি বাতিল নীতি ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তিনি ঘোষণা করেন, এই পলিসি অনুযায়ী ব্যক্তিগত গাড়ির ফিটনেস টেস্ট হবে ২০ বছর পরে। বাণিজ্যিক গাড়ির ফিটনেস টেস্ট হবে ১৫ বছর পরে। এর ফলে ভারতের তেল আমদানির খরচ কমবে।

গত সপ্তাহে পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গড়করি ঘোষণা করেন, ১ এপ্রিল থেকে প্রতিটি সরকারি দফতর ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা থেকে ১৫ বছরের বেশি বয়সী গাড়ি বাতিল করা হবে। সেজন্য নোটিশ দেওয়া হবে শীঘ্র। ১৫ বছরের বেশি পুরানো গাড়ি বাতিল করার সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই অনুমোদন করেছে সরকার।

২০১৯ সালের ২৬ জুলাই সরকার প্রস্তাব দেয়, ১৫ বছরের পুরানো সব গাড়ি বাতিল করা হোক। সেজন্য প্রয়োজনে মোটর ভেহিকল আইন সংশোধন করা হতে পারে। বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি যাতে আরও বেশি ব্যবহার করা যায়, সেজন্য পুরানো গাড়ি বাতিল করতে চায় সরকার।

গত ১৫ জানুয়ারি গড়করি বলেন, “পুরানো গাড়ি বাতিল করার জন্য আমরা প্রস্তাব পেশ করেছি। প্রস্তাব অনুমোদিত হলে ভারত হবে অটোমোবাইল হাব। গাড়ির দামও কমবে।” পরিবহণমন্ত্রী জানান, বাতিল গাড়ির যন্ত্রাংশ রিসাইকল করে কাজে লাগানো হবে। তাহলেই নতুন গাড়ির দাম কমবে। বর্তমানে অটোমোবাইল শিল্পের টার্ন ওভার বছরে ৪.৫ লক্ষ কোটি টাকা। তার মধ্যে রফতানি হয় ১.৪৫ লক্ষ কোটি টাকার গাড়ি। পুরানো গাড়ি বাতিল করা হলে অটোমোবাইল শিল্প চাঙ্গা হবে।

এর আগে নির্মলা সীতারমনও জানিয়েছিলেন, পুরানো গাড়ি বাতিল করার প্রকল্প নিয়ে কথা চলছে। সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রক মতামত জানালেই সেই প্রকল্প ঘোষণা করা হবে।

একইসঙ্গে এবার বাজেটে বড় আকারের বিলগ্নিকরণ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে বিলগ্নিকরণ করা হবে। কেবল কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ চারটি ক্ষেত্রে সামান্য অংশীদারিত্ব থাকবে সরকারের। এর আগে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্যাকেজে এই বিলগ্নিকরণ পরিকল্পনার একটি অংশ ঘোষণা করা হয়েছিল।

অর্থমন্ত্রীর কথায়, “চারটি ক্ষেত্রে সরকারের সামান্য অংশীদারিত্ব থাকবে। বাকি ক্ষেত্রগুলি পুরোপুরি বেসরকারিকরণ করা হবে।” নির্মলা জানান, স্ট্র্যাটেজিক ও নন স্ট্র্যাটেজিক সেক্টরে বেসরকারিকরণের জন্য নির্দিষ্ট রোড ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এর পরে কোন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিতে বিলগ্নিকরণ করা যায়, তা স্থির করবে নীতি আয়োগ।

২০২১-২২ সালে যে সংস্থাগুলি বিলগ্নিকরণ করা হবে, তার মধ্যে আছে ভারত পেট্রলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড, এয়ার ইন্ডিয়া, শিপিং কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া, কনটেনার কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া, আইডিবিআই ব্যাঙ্ক, ভারত আর্থ মুভারস লিমিটেড এবং পবন হংস।

নির্মলা জানিয়েছেন, দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এবং একটি জেনারেল ইনসিওরেন্স কোম্পানিতেও বিলগ্নিকরণ করা হবে। সেজন্য সংশ্লিষ্ট আইনের কিছু পরিবর্তন করা হবে। আইন সংশোধনী বিল পেশ হবে সংসদের চলতি অধিবেশনেই। লাইফ ইনসিওরেন্স কর্পোরেশনের ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং শেষ হবে ২০২১-২২ সালের মধ্যে।

You might also like