
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক থেকে অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলিকে চরমপত্র দেওয়া হয়নি। কিন্তু তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অবিলম্বে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কঠোর বিধি চালু করবে কেন্দ্র। গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক ‘আপৎকালীন ক্ষমতা’ ব্যবহার করে ৫৫ টি ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করে দেয়। টুইটার ও ফেসবুকের কয়েকটি অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে দেওয়া হয়। সরকার বলে, ওই ইউটিউব চ্যানেলগুলি ভুয়ো খবর ছড়াত। একইসঙ্গে তারা দেশবিরোধী প্রচারও করত।
সোমবারের বৈঠকে দেশীয় কনটেন্ট শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে শেয়ারচ্যাট ও কু-ও অংশগ্রহণ করে।
আলফাবেট ইনকর্পোরেটেডের গুগল জানিয়ে দিয়েছে, তারা স্থানীয় আইন অনুযায়ী আপত্তিকর কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। একই কথা বলেছে কু। টুইটার জানিয়েছে, ভারত সরকার বহুবার তাদের নানা কনটেন্ট সরিয়ে দিতে অনুরোধ করেছে। কম্পারিটেক নামে এক টেকনোলজি ওয়েবসাইট জানিয়েছে, ২০২০ সালে ভারত সরকার ফেসবুক ও গুগলকে ৯৭ হাজার ৬৩১ টি কনটেন্ট সরিয়ে নিতে অনুরোধ করেছে। যে দেশগুলি সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কনটেন্ট সরাতে অনুরোধ করেছে, তাদের মধ্যে ভারত আছে দ্বিতীয় স্থানে। প্রথম স্থানে আছে রাশিয়া।