
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর (Gopal Krishna Gandhi) নাম বিবেচনা করছে বিরোধী শিবির। তাঁর সঙ্গে ইতিমধ্যেই বিরোধী নেতা-নেত্রীরা কথা বলেছেন। বুধবার সকালে দ্য ওয়াল -এর তরফে গোপালকৃষ্ণ গান্ধীকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আলোচনা চলছে। আমি এখনই কোনও মন্তব্য করব না।
এর আগে ২০১৭ সালে তিনি উপ রাষ্ট্রপতি পদে বিরোধীদের সর্বসম্মত প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ১৭টি দল মিলে তাঁকে মনোনীত করেছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতি পদে শাসক বিজেপির প্রার্থীরাই জয়ী হন। উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে বরাবর সরব তিনি।
বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সম্পর্ক বেশ ভাল। ২০০৪-এর ডিসেম্বর থেকে পাঁচ বছর বাংলার রাজ্যপাল ছিলেন তিনি। রাজ্যের তৎকালীন বাম সরকারে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর পছন্দের মানুষ গোপালকৃষ্ণর সঙ্গে গোড়ায় সরকারের সম্পর্ক মধুর ছিল। তাল কালে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনে সরকার ও শাসক দলের কিছু পদক্ষেপ ঘিরে। সিঙ্গুরের ক্ষেত্রে তিনি চেয়েছিলেন টাটার কারখানা হোক। সে জন্য জমি বিবাদ মেটাতে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজভবনে ডেকে মুখোমুখি বৈঠকে বসিয়েছিলেন।

অন্যদিকে, নন্দীগ্রামের ক্ষেত্রে কেমিক্যাল হাবের জন্য জমি নেওয়াতে সায় না দেওয়ার পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালনার ঘটনাকে হাড় হিম করা সন্ত্রাস বলে মন্তব্য করেছিলেন।
সূত্রের খবর, ২০১০-এ তিনি রাজ্যপাল পদ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে তাঁকে বার্তা দেওয়া হয়েছিল আরও পাঁচ বছর থেকে যাওয়ার জন্য। কেন্দ্রে তখন ইউপিএ সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের রেলমন্ত্রী। কিন্তু গোপালকৃষ্ণ রাজি হননি।

সেই থেক চেন্নাইয়ের বাড়িতে অবসর জীবন কাটাচ্ছেন। তবে নিয়মিত পত্রপত্রিকায় রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ে নিবন্ধ লিখে থাকেন।