
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ডিজিটাল স্ট্রাইক। শুরুটা করেছে ভারত। আর তার পরে আমেরিকাও। ইতিমধ্যেই টিকটক নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে আমেরিকা। দেশের নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সরকারি কর্মীদের ওই চিনা অ্যাপ ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এবার সেদেশের সবচেয়ে বড় সার্চ ইঞ্জিন সংস্থা গুগল চিনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন আড়াই হাজারের বেশি চ্যানেল ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম ইউটিউব থেকে ডিলিট করে দিল।
আরও পড়ুন
সুশান্ত তদন্তে অভিনেতার প্রাক্তন বিজনেস ম্যানেজারকে সমন পাঠালো ইডি
পূর্ব লাদাখের গালোয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সংঘর্ষের পর থেকে সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে চাপ বাড়িয়েছে ভারত। সেই সঙ্গে চিনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কেও কমিয়ে ফেলা হচ্ছে। গত ১৫ জুন লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এক কর্নেল-সহ ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হন। তারপর ২৯ জুন টিকটক সহ ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে ভারত। ভারতে নিষিদ্ধ হওয়া চিনা অ্যাপগুলির মধ্যে আছে খুবই জনপ্রিয় টিকটক, উইচ্যাট, শেয়ারইট এবং ইউসি ব্রাউজারও। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ঘোষণা ছাড়াই কেন্দ্রীয় সরকার শাওমি, বাইডুর মতো চিনা সংস্থার আরও বেশ কয়েকটি অ্যাপ ভারতে ব্লক করে দিয়েছে। সূত্রের খবর, ওই অ্যাপগুলির মধ্যে এম আই ব্রাউজার ও বাইডুর-র সার্চ অ্যাপও রয়েছে।
ভারতের সেই পদক্ষেপের মধ্যেই এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকেও জোড়া চাপে পড়ল চিন। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের পাশাপাশি মার্কিন মুলুকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে জনপ্রিয় চিনা অ্যাপ টিকটক। প্রথম ধাপে বলা হয়েছে, কোনও সরকারি কর্মী আর এই অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না। বৃহস্পতিবারই এই ঘোষণা করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। একই সঙ্গে গুগল ইউটিউব থেকে চিনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন ২,৫০০-র বেশি চ্যানেল ডিলিট করে দিয়েছে। তবে কোন কোন চ্যানেল বাতিলের তালিকায় রয়েছে তা গুগলের পক্ষে জানানো হয়নি। শুধু জানানো হয়েছে, চলতি তদন্ত প্রক্রিয়ার মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সার্চ ইঞ্জিন গুগলের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে চিনের বিভিন্ন সংস্থার উপরে চাপ তৈরি করবে।
আমেরিকা চায়, টিকটক মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স অ্যাপটি মার্কিন সংস্থা মাইক্রোসফটকে বিক্রি করে দিক। সেটা না করা হলে দেশে টিকটক পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হবে। হয় বিক্রি, নয় নিষিদ্ধকরণ মেনে নেওয়ার জন্য টিকটকের হাতে সময় রয়েছে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সেটা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, শুধু চিনা অ্যাপই নয়, চিনের বিভিন্ন টেলিকম সংস্থাকেও সেদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হতে পারে। সকলের বিরদ্ধেই মার্কিন নাগরিক ও বাণিজ্য সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের অভিযোগ রয়েছে।