
দ্য ওয়াল ব্যুরো: খেলার শুরুতেই দারুণ ফুটবল উপহার দিয়েছিল মহামেডান স্পোর্টিং। আশায় বুক বেঁধেছিলেন তামাম সমর্থকরা। যুবভারতীতে শনিবার রাতে ভিড় জমিয়েছিলেন ৩৭ হাজার দর্শক। তার মধ্যে ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরাও হাজির ছিলেন। কিন্তু শেষটা সুখের হল না কলকাতার ঐতিহ্যবাহী দলের। গোকুলামের (Gokulam Champion) কাছে আই লিগ ফাইনালে ২-১ গোলে হেরে হতাশাই উপহার দিল তারা।
খেলার আগে অঙ্ক ছিল, এই ম্যাচটিতে গোকুলামকে ড্র করলেই চলবে। আর মহামেডানকে জিততেই হবে। শেষমেশ গোকুলামই জিতে গিয়ে কেরল ফুটবলের মর্যাদাকে বাড়াল। যদিও সারা ম্যাচে মহামেডান লড়াই থেকে বিন্দুমাত্র সরে আসেনি। সেই হিসেবে বলা যেতে পারে, হারলেও সমর্থকদের মন জয় করে নিয়েছেন ব্ল্যাক প্যান্থার্সরা।
মমতার ছবি ফুটবলারদের ঘরে টাঙাতে বললেন মন্ত্রী অরূপ, অনুপ্রেরণা দিতে পেপ টক
ম্যাচে প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল গোকুলামই, রিশাদ গোল করে এগিয়ে দেন ৪৯ মিনিটে। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে মহামেডানের পরিবর্ত ফুটবলার আজহারউদ্দিন মল্লিক গোল করে সমতা ফিরিয়েছিলেন। মার্কাসের ফ্রিকিক আজহারের গায়ে লেগে জালে জড়িয়ে গিয়েছিল।
বেশিক্ষণ যদিও সমতা থাকেনি ম্যাচ। গোকুলাম যে শেষরাতে ওস্তাদ, সেটি প্রমাণ করে ৬১ মিনিটে ২-১ করে দিয়ে। সেক্ষেত্রে গোলটি করেন এমিল বেনি।
একটা সময় রিয়ালের মতো প্রত্যাবর্তনের আশা দেখছিলেন মহামেডান সমর্থকরা। সম্প্রতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে ৮৮ মিনিটের পরে দুই গোল দিয়ে বাজিমাত করে তারা। সেই কাজে অসফল থেকে গেল মহামেডান। প্রায় ১০ মিনিট অতিরিক্ত পেয়েও কাজে আসেনি তাদের প্রচেষ্টা।

খেলায় বল পজেশনের দিক থেকে মহামেডান অনেকটাই এগিয়ে ছিল ম্যাচে। কিন্তু আসল কাজ সারতে পারেননি দলের আক্রমণভাগের তারকারা। মহামেডানের কোচ সামনে রেখেছেন শুধুমাত্র ব্রাজিলীয় তারকা মার্কাস জোসেফকে। তিনি চলতি লিগে মোট ১৫টি গোল করেছেন।
মহামেডান কোচের কৌশল, গোল হজম করা চলবে না, তাই রক্ষণকে মজবুত করে সাজিয়েছেন। বিপক্ষকে দেখে তারপর আক্রমণে যাওয়া। তার মধ্যেও কেরলের দলটি মহামেডান রক্ষণকে চাপে ফেলে দিয়েছিল।
গোকুলামের ফুটবলাররা এতটাই খেতাব জিততে মরিয়া যে তারা দশটি ফাউল করে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। মহামেডানের মার্কাস সামনে একা পড়ে গিয়েছেন, তাঁকে সহায়তা করার মতো কেউ নেই। সেটাই শেষমেশ পার্থক্য হয়ে গিয়েছে ম্যাচে। খেলায় বহু সুযোগ অপচয় করে মহামেডানের ইতিহাসের সঙ্গী হওয়া হল না। আবারও তাদের অপেক্ষা করতে হবে খেতাবের জন্য। কারণ ফেডারেশন জানিয়েছিল, এবার আই লিগ জিততে পারলে পরেরবার আইএসএলের খেলার দরজা খুলবে, সেটি আর হল না এদিনের হারে।