
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব মেদিনীপুর: ছাগল শেখে অ আ ক খ! ঘাস-পাতার সঙ্গে বইয়ের পৃষ্ঠা খেয়েই বড় হচ্ছে ছাগ-কূল। সরকারি বইয়ের গোডাউনেই চাষ হচ্ছে ছাগলের পাল(Goats In Book Godown)। এমনই অবাক করা ছবি দেখা গেল তমলুক শহরে (Tamluk)। আর সেই ঘটনাতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর (Medinipur) জেলাজুড়ে।
তমলুকে পুরনো জেলাশাসকের দফতর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত শহিদ মাতঙ্গিনী স্বদেশী বাজার রেগুলেটেড মার্কেট। সেখানে দুটি ঘরে সরকারি বই ঢাঁই করে রাখা। কলকাতা থেকে বিভিন্ন শ্রেণির সরকারি বই আসে এখানে। পরে প্রয়োজন মতো জেলার স্কুলগুলোতে সেই বই বিতরণ হয়। আর সেখানেই বেড়ে উঠছে ছাগলের পাল।
আমরা ওই সরকারি বইয়ের গোডাউনে গিয়ে দেখলাম, চারিদিকে ছাগলের মলমূত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। বহু বইয়ের উপরেও সেসব পড়েছে। গোটা ঘটনা জেনে আতঙ্কিত হয়ে উঠেছেন অভিভাবকরা। কারণ এইসব বই ছেলেমেয়েদের কাছে গেলে তা থেকে জীবানু সংক্রমণ ঘটতে পারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যিনি এই গোডাউনের দায়িত্বে আছেন সেই ব্যক্তিই এই ছাগল চাষ করে। গোটা তমলূক শহরে নাকি সে ছাগল সরবরাহ করে।
ব্রিটিশ কমিশনারের ঢাল-তরবারিতে আজও সাজেন গোলাবাগানের কার্তিক
এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, যে ব্যক্তি এই ছাগল চাষ করেন তিনি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ। শাসকদলের নেতাদের মাসোহারা দেওয়ার বিনিময়ে সরকারি গোডাউন এইভাবে ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করছেন। এতে ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য মারাক্তক ঝুঁকির মুখে পড়ে যাবে বলে তাদের দাবি।
এইভাবে বইয়ের গোডাউনে ব্যক্তিগত ছাগল পালন ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁরা গোটা বিষয়টি উচ্চ মহলে জানাবেন বলে জানান। এদিকে এই গোডাউনের অস্তিত্ব নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে প্রশাসনিক মহলে। সর্বশিক্ষা অভিযানের দাবি তাদের এমন কোনও বই গোডাউন নেই! তবে গোটা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।