
তাঁর কথায়, “বাজপেয়ী সরকারের আমলে প্রথমে ডিটেনশন ক্যাম্পের কথা শোনা যায়। বলা হয়েছিল, যে বিদেশিরা অনুপ্রবেশ করার পরে জেলে আছেন, তাঁদের কারাবাসের মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে আটকে রাখা হবে ডিটেনশন ক্যাম্পে। মোদী ক্ষমতায় আসার পরে বৃহত্তম ডিটেনশন সেন্টার বানানোর জন্য ৪৬ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। সেখানে ৩ হাজার মানুষকে রাখার কথা হয়েছিল। এখন তিনি কীভাবে বলছেন যে, দেশে কোনও ডিটেনশন সেন্টার নেই?”
২০০১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত গগৈ অসমে কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি বলেন, তাঁর আমলে ডিটেনশন সেন্টার তৈরি হয়েছিল। গুয়াহাটি হাইকোর্ট বলেছিল, যারা ঘোষিত বিদেশি, তাদের রাখার জন্য ডিটেনশন ক্যাম্প বানাতে হবে। তরুণ গগৈয়ের মতে, মোদী সরকার এখন ‘মুখরক্ষার জন্য’ বলছে, দেশে কোনও ডিটেনশন সেন্টার নেই।
তাঁর কথায়, “২০১৪ সালে মোদী যখন প্রধানমন্ত্রী হলেন, তিনি যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে অনুপ্রবেশকারী বা ডিটেনশন সেন্টার নিয়ে আলোচনা করেননি। এমনকি বাংলাদেশের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেননি। এখন তিনি সবাইকে বোঝাতে চাইছেন, সরকার খুব উদার। আমরা কাউকে আটক করি না।”
তরুণ গগৈ বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা বা তাদের আটক করার ক্ষেত্রে কারও ধর্মীয় পরিচয় দেখা উচিত নয়। তাঁর কথায়, “বাস্তবে ডিটেনশন ক্যাম্পে মুসলিমদের চেয়ে হিন্দুরাই বেশি আছেন। কে এই হিন্দুদের আটক করেছে? বিজেপিই করেছে।”
অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চান, ডিটেনশন ক্যাম্পে বেশি কড়াকড়ি করা উচিত নয়। তাঁর কথায়, “সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আটক হওয়া ব্যক্তিদের তিন বছর পরে মুক্তি দিতে হবে। সুতরাং তার জন্য ব্যবস্থা করতে হবে।”