
দ্য ওয়াল ব্যুরো: স্ত্রীর সঙ্গে মধ্যরাতে ভিডিও কলে কথা বলছিলেন (Video call with wife)। আচমকাই শুরু হয় তর্কাতর্কি কথা কাটাকাটি। তারপরেই আত্মহত্যা করবেন বলে স্ত্রীকে হুমকি দেন কলকাতার গরফার বাসিন্দা একটি বেসরকারি ব্যাংকের উচ্চপদস্থ আধিকারিক। সেই হুমকিকে সত্যি করে স্ত্রীর চোখের সামনেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়লেন তিনি (Garfa Bank officer hangs himself)।
রবিবার রাত প্রায় পৌনে ৪টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে গরফার পূর্বাচল মেন রোডের একটি ফ্ল্যাটে। মৃতের নাম প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪৭ বছর বয়সি ওই ব্যক্তি শেক্সপিয়ার সরণিতে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের উচ্চপদে কর্মরত। যদিও আগে কর্মসূত্রে গুজরাতে থাকতেন প্রসূন। মাস দশেক আগে বদলি হয়ে আসেন কলকাতায়। তাঁর স্ত্রী অপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও গুজরাতের আমদাবাদেই থাকেন। দম্পতির দুই মেয়েও সেখানেই মায়ের সঙ্গে থাকে।
রবিবার রাত ১টা নাগাদ স্ত্রী অপর্ণার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলছিলেন প্রসূন। সেই সময় আচমকাই দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। অপর্ণা জানিয়েছেন, সেই সময় আত্মহত্যা করার হুমকি দিতে শুরু করেন প্রসুন। এমনকী, একটি সুইসাইড নোট লিখে তা তিনি হোয়াটসঅ্যাপ মারফত স্ত্রীকে পাঠিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছেন অপর্ণা। এরপর ভিডিও কলে থাকতে থাকতেই সিলিং ফ্যানের সঙ্গে দড়ি বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়েন তিনি।
সঙ্গে সঙ্গে গরফা থানায় ফোন করে খবর দেন অপর্ণা। পুলিশ এসে ভিতর থেকে বন্ধ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। ড্রয়িং রুমে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় প্রসূনকে। তাঁকে উদ্ধার করে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর দেহ ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের কাছে অপর্ণা জানিয়েছেন, সম্প্রতি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তাঁর স্বামী। সেই নিয়েই দুজনের বচসা বাঁধে বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর এই দাবি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, ফ্ল্যাট থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
দলপতির ক্যানসার, চিকিৎসার খরচ তুলতে ২০টি দামি গাড়ি চুরি করল চোরেরা