
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গ্যাংয়ের মাথা রক্তের ক্যানসারে ভুগছে। তার চিকিৎসা, কেমোথেরাপির খরচ তুলতে গাড়ি চুরির পরিকল্পনাই করল চোরেরা। তক্কে তক্কে থেকে সুযোগ বুঝে ২০টি দামি গাড়ি চুরি করে পালাল চোরেরা। দিল্লি (Delhi) ও তার আশপাশের এলাকায় এমন ঘটনাই ঘটেছে।
তবে এরা যে সে চোরা নয়, একেবারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গাড়ি চোর। এদের বড় চক্র দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় দিল্লি ও তার আশপাশের এলাকায়। আগেও নানা সময় দামি গাড়ি বা গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরি করেছে এই গ্যাং। অপরাধীদের বহুদিন ধরেই খুঁজছিল পুলিশ।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, ওই গ্যাংয়ের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ২০টি গাড়ির যন্ত্রাংশ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ বলছে, দামি এসইউভি, টয়োটা ফরচুনার, ইনোভা সহ ২০টি গাড়ি দিল্লি ও তার আশপাশের এলাকা থেকে হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছিল ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা। তারপর সেই গাড়িগুলি থেকে মূল্যবান যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে বেচে দেওয়ার ছক করেছিল। তার আগেই ধরা পড়ে যায় দলেরই দুই মাথা। প্রায় ৫০ রকম যন্ত্রাংশ পাওয়া গেছে তাদের থেকে।
জাতীয়তাবাদ দিয়ে জালিয়াতি ঢাকা যাবে না! আদানিকে পাল্টা জবাব হিন্ডেনবার্গের
ধৃতদের একজের নাম লাকি (৩৬) যে দলের প্রধানের ভাইপো। অন্যজন আশিষ ওরফে আশু। পুলিশ জানাচ্ছে, এই দু’জন নিজেদের নাম ও আস্তানা বদলে বদলে দিল্লিতে গা ঢাকা দিয়েছিল। দীর্ঘ সময় ধরে দিল্লিতে গাড়ি বা গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরি করেছে তারা। জেরায় ধৃতরা বলেছে, তাদের দলের মাথার রক্তের ক্যানসার ধরা পড়েছিল ১০ বছর আগে। কেমোথেরাপির ও অন্যান্য চিকিৎসার খরচের জন্য প্রচুর টাকার দরকার ছিল। তাই নানা সময় গাড়ি চুরির পরিকল্পনা করে তারা। সম্প্রতি আরও ১০ লাখ টাকা বিল করেছিল হাসপাতাল। সেই টাকা তোলার জন্যই নতুন করে গাড়ি চুরির ছক সাজায় তারা। সুযোগ বুঝে একসঙ্গে ২০টি গাড়ি হাতিয়ে চম্পট দেয়। তারপর সেই গাড়িগুলো থেকে ব্যাটারি ও অন্যান্য যন্ত্রাপাতি খুলে নেয়। কিন্তু সেগুলো বিক্রি করার আগেই পুলিশ ধরে ফেলে তাদের। এবার দলপতির চিকিৎসা কীভাবে হবে, সে নিয়ে জেলে বসেই চিন্তা করছে চোরেরা।