
দ্য ওয়াল ব্যুরো: উনিশের লোকসভায় দেশজোড়া খারাপ ফলের দায় নিয়ে কংগ্রেস (Congress) সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের ভোটে কংগ্রেসের অবস্থা আরও শোচনীয় জায়গায় পৌঁছেছে। এদিন সন্ধ্যায় জাতীয় স্তরের একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রের দাবি বলে সংবাদ পরিবেশন করে, রবিবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী—তিনজনেই ইস্তফা দিতে পারেন।
তার পরক্ষণেই কংগ্রেসের তরফে অন্যতম মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা টুইট করে বলেন, এই খবর একেবারেই ভিত্তিহীন। এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের হারের পর কংগ্রেস সভানেত্রীর পদ ছাড়তে চেয়েছিলেন সনিয়া গান্ধী। সেই সময়ে সিডব্লিউসি তা গ্রহণ করেনি। তারপর দলের ব্যাটন রাহুলের হাতে তুলে দিয়েছিলেন সনিয়া। কিন্তু উনিশের ভোটেও রাহুলের নেতৃত্বে কংগ্রেস ঘুরে দাঁড়াতে তো পারেইনি উলটে আরও খারাপ ফলাফল হয়। সারা দেশে একা ৩০০-র বেশি আসন নিয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরেন নরেন্দ্র মোদী।
আসানসোল ও বালিগঞ্জের উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করল কমিশন
রাহুল কংগ্রেস সভাপতি পদ ছাড়ার পরে অন্তর্বরতী সভাপতি হিসেবে ফের দায়িত্ব নেন সনিয়া। বছর দুয়েক ধরেই গান্ধী পরিবারের নেতৃত্ব নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে। বর্ষীয়ান নেতাদের ২৩ জন আলাদা গোষ্ঠী বানিয়ে ফেলেছেন। তাঁরা সরাসরি সনিয়া গান্ধীর সমালোচনা করে বলেছেন, তিনি আংশিক সময়ের সভাপতি। একাধিকবার সময়সীমা পেরোলেও নতুন সভাপতি নির্বাচন করতে পারেনি কংগ্রেস। অনেকের মতে, পাঁচ রাজ্যের ভোট কংগ্রেসকে যেখানে দাঁড় করিয়েছে তাতে বিক্ষুব্ধরা যে গান্ধী পরিবারের ত্রয়ীর দিকে তোপ দাগবেন তা বলাই বাহুল্য। এখন দেখার রবিবার সিডব্লিউসি বৈঠকে আসলে কী ঘটে।