
কী দেখা যাচ্ছে সেখানে?
একটি স্কুটিতে চেপে পেট্রল পাম্পে ঢুকছেন দুই যুবক। ডিজিটাল বোর্ডে পেট্রলের দাম লেখা। একটু দূরে রাখা ফ্লেক্সে নরেন্দ্র মোদীর উপুড় হয়ে শুয়ে থাকার ছবি। যদিও ছবিটি কয়েক বছর আগে লাল কেল্লার সামনে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের।
কিন্তু কখন যে কোন ছবি কোন জায়গায় ব্যবহার হয়ে যায়! ছোট্ট পথনাটিকায় দেখা যাচ্ছে স্কুটিতে চেপে পাম্পে আসা এক যুবক দাম দেখেই বাক শক্তি হারাচ্ছেন। ছুটে চলে যাচ্ছেন ওই ফ্লেক্সের সামনে। আর সেই ফ্লেক্সে মোদীর ছবির নীচে লেখা, ‘পেট্রলের দাম ১০০ টাকা হয়ে গেছে। মোদীজি শুয়ে পড়েছেন। আমরাও শুয়ে পড়ব!’
মনমোহন সিং জমানায় যখন পেট্রলের দাম বাড়ত তখনই গর্জে উঠতেন মোদী। সেই সময়ে কত ভিডিও, বিদ্রুপাত্মক স্লোগানই না টুইট করতেন স্মৃতি ইরানি, রবিশঙ্কর প্রসাদরা। অনেকের মতে, যুব কংগ্রেসও যেন এদিন বোঝাতে চাইল এক মাঘে শীত যায় না। কড়ায় গণ্ডায় সব ফিরিয়ে দিতে চাইল তারা। এই ভিডিও টুইট করেছেন যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতা শ্রীনীবাস বি বিভি।
पेट्रोल की शतक मारकर,
जब 'पंप' पर सोते मिले प्रधानमंत्री..नागपुर में युवा कांग्रेस का अनोखा प्रदर्शन..!#PetrolAt100 pic.twitter.com/YKOvPXzYl7
— Srinivas B V (@srinivasiyc) May 31, 2021
টুইট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, যুব কংগ্রেসের নেতারা রাস্তায় ধরে ধরে মানুষকে জিজ্ঞেস করছেন পেট্রলের দাম নিয়ে তাঁদের প্রতিক্রিয়া। এবং এও শোনা যাচ্ছে তার বেশ রুষ্টই।
পেট্রলের দাম বৃদ্ধি মানেই জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়া। কারণ পণ্য পরিবহণে তার প্রভাব পড়ে। ফলে দাম বাড়ে। ওই টুইটে এও দেখা যাচ্ছে, নাগপুরের যুব কংগ্রেস কর্মীরা দাবি জানাচ্ছেন, পেট্রল পাম্পে অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখতে হবে। কেন না অনেকেরই পেট্রল নিতে এসে দাম শুনে দম আটকে যেতে পারে!