
আমেরিকা ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার ২৪ ঘন্টার মধ্যে একথা বললেন ফ্রান্সের বিদেশ মন্ত্রী জাঁ ইভস লে ড্রিয়ান।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ওই চুক্তি করেছিল রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চিন, রাশিয়া। জার্মানিও ছিল তার সঙ্গে। আমেরিকার হয়ে চুক্তিতে সই করেছিলেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
কিন্তু আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, চুক্তির গোড়ায় গলদ আছে। তার পরে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি বলেছেন, চুক্তি যদি বহাল থাকে তো ভালো, না হলে তাঁরা ফের ইউরেনিয়াম এনরিচমেন্ট শুরু করবেন। কিন্তু ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই বলেছেন, আমার মনে হয় না চুক্তি বহাল থাকবে। আমি ব্রিটেনকে বিশ্বাস করি না।
এই অবস্থায় চুক্তি বাঁচাতে মাঠে নেমেছে ফ্রান্স। রেডিওর সাক্ষাৎকারে লে ড্রিয়ান বলেন, আমেরিকা ওই চুক্তি না মানলেও চুক্তি থাকবে। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে রাশিয়াও। আগামী সোমবার ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন ও জার্মানি ওই চুক্তি নিয়ে বৈঠকে বসতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
কিন্তু ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ইরানের শত্রু ইজরায়েল ও সৌদি আরব।