
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মামলা প্রত্যাহার করার জন্য ক্রমশ চাপ দিচ্ছিল জামিনে মুক্ত থাকা ধর্ষকরা (Rapist)। এমনকী বিয়ের জন্য জোরও করা হচ্ছিল এক নাবালিকাকে (Teen)। লাগাতার চাপ সহ্য করতে না পেরে শেষে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী (suicide) হল সে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (UP) ফারুখাবাদে ফতেগড় থানা এলাকায়।
জানা গেছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ১৬ বছরের ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে দু’জন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ দু’জনকেই গ্রেফতার করে। যদিও গত অগস্টেই জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে যায় অভিযুক্তরা। এরপরই শুরু হয় নানারকম চাপ দেওয়া। কখনও মামলা প্রত্যাহারের জন্য জোর করা শুরু হয়, কখনও আবার দুই অভিযুক্তের একজনকে বিয়ের জন্যও চাপ দেওয়া হয়।
লাগাতার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বৃহস্পতিবার গায়ে আগুন দেয় ওই নাবালিকা। সেসময় মাঠে কাজ করছিলেন তার বাবা। মেয়ের আর্তনাদ শুনে ছুটে আসেন তিনি। দেখেন এই কাণ্ড। সঙ্গে সঙ্গে গুরুতর জখম অবস্থায় ওই নাবালিকাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর সেখান থেকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ অবধি আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি ওই কিশোরীকে। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওই নাবালিকার দেহের ৭০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল। বাঁচার সম্ভাবনা ছিল না।
এদিকে নাবালিকার মৃত্যুর পরই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় গ্রামে। ঘটনার জেরে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। খবর পেয়ে পালিয়ে যায় দুই অভিযুক্ত। দু’জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে যে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিগগিরই দু’জনকে গ্রেফতার করবে পুলিশ।
এই ঘটনার পর রীতিমতো বিধবস্ত হয়ে পড়েছে ওই নাবালিকার পরিবার। কান্নায় ভেঙে পড়ে তার বাবা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ওরা আমার মেয়ের জীবনটাই শেষ করে দিল। ধর্ষণের মামলা তুলে নিতে বলত। হুমকি দিত। এত চাপ সহ্য করতে না পেরেই মেয়েটা গায়ে আগুন দিল।”
সমলিঙ্গের বিয়েতে স্বীকৃতি নিয়ে অবস্থান জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট