
তবে এর সমাধান কী?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজি তৈরি করা বন্ধ না হলে তা পোড়ানোও বন্ধ হবে না। এপ্রিল মে মাস থেকে সাধারণত বাজি তৈরির কাজ শুরু হয়। সেই সময়েই তা বন্ধ করা দরকার। পরিবর্তে বাজি কারিগরদের বেশি করে সবুজ বাজি তৈরিতে উৎসাহ দিতে হবে। পরিবেশবিদরা যে মাত্রা ঠিক করে দিয়েছেন বাজির জন্য, তা মাথায় রেখে বাজি বানাতে হবে, সেই অনুযায়ী দরকার প্রশিক্ষণও, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাজি নির্মাতাদের সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করার পক্ষে সওয়াল করেছেন অনেকেই। তাতে দোকানে বাজি কিনতে গেলে ক্রেতারাও বুঝতে পারবেন তারা যে বাজি নিচ্ছেন তা নেওয়া উচিত কিনা।
সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, দীপাবলিতে সবুজ বাজি পোড়ানো যাবে। এই বাজি পরিবেশবান্ধব। কিন্তু কোন বাজি সবুজ আর কোনটা নয়, তা নিয়েই অনেক মত পার্থক্য, বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। পুলিশের কর্তারাও বলছেন, যদি সমস্ত বাজি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হত, তবে তা ঠেকানো অনেক সহজ হত। সবুজ বাজিতে সবুজ সংকেত থাকায় বিক্রি বন্ধ করা যায়নি। যেখানেই বাজি বাজেয়াপ্ত করতে গেছে পুলিশ, তাদের কাছে প্রমাণ চাওয়া হয়েছে, এই বাজি পরিবেশবান্ধব কিনা।
মার্কেটে বাজি এলে তা কেনা আটকানো কার্যত অসম্ভব, জানাচ্ছেন পুলিশ কর্মীরা। তাই পরিবেশের ক্ষতি করে এমন বাজি তৈরি বন্ধ করতে হবে, সেটাই একমাত্র উপায়। সকলেই একবাক্যে মেনে নিচ্ছেন সেকথা।