
দ্য ওয়াল ব্যুরো, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: হাতিশালায় তৃণমূল-আইএসএফের ( TMC- ISF Chaos At Bhangor ) মধ্যে খণ্ডযুদ্ধের ঘটনার তদন্তে তৎপর লেদার কমপ্লেক্স থানা। হাতিশালা মোড়ে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পাঁচজনকে আটক ( Five Detain ) করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে হাতিশালা জিরেনগাছা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে ওই পাঁচজন আটক করা হয়।
গত ২০ জানুয়ারি দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে আইএসএফের সঙ্গে তৃণমূলের সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল হাতাহাতি ও ইট বৃষ্টি শুরু হয়। তৃণমূল কর্মীর মাথায় ইটের আঘাত লাগে। রাতভরই চলে দফায় দফায় অশান্তি।
ছিনতাইবাজদের হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা, অমৃতসরে ঘুরতে গিয়ে মৃত্যু ভিনরাজ্যের আইনের ছাত্রীর
পরদিন অর্থাৎ ২১ জানুয়ারি সকাল থেকে ফের তেতে ওঠে ভাঙড়। দুর্নীতি মুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার লক্ষে কলকাতার রাসমণি রোডে আইএসএফের জনসভায় যোগ দিতে আসার পথে ভাঙড়ের হাতিশালায় দলের কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয় বলে আইএসএফ নেতৃত্ব অভিযোগ করেছিল। মারধরে বেশ কয়েকজন আইএসএফ কর্মী জখম হন বলে দলীয় তরফে দাবি করা হয়। আইএসএফের বিরুদ্ধে হামলার পাল্টা অভিযোগ আনে তৃণমূল। তৃণমূল নেতাদের দাবি ছিল, তাঁদের তিনটি পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছে আইএসএফের লোকজন। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে পার্টি অফিসে।
ধুন্ধুমার পরিস্থিতির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। ততক্ষণে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে গোটা এলাকা। ইটবৃষ্টি হতে থাকে। চলে বোমাবাজিও। দীর্ঘক্ষণ ধরে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা।