
অতীতেও দেখা গেছে এই তিন রাজ্যে যে দল বিধানসভায় বেশি আসন পায়, তারাই লোকসভায় ভালো ফল করে। অন্য দিকে, তেলঙ্গানায় কংগ্রেস ও চন্দ্রবাবু নায়ডুর জয় হলে বিরোধী জোটের ঐক্য মজবুত হবে। আর মিজোরাম যদি কংগ্রেসের হাত থেকে বিজেপি নিয়ে নিতে পারে, তা হলে উত্তর পূর্বে আধিপত্য কায়েম করার বিজেপির লক্ষ্য সফল হতে পারে।
বুথফেরত সমীক্ষা থেকে যা ইঙ্গিত তা থেকে এটা কার্যত পরিষ্কার যে রাজস্থানে কংগ্রেসই সরকার গড়বে। মধ্যপ্রদেশে বিজেপির ভোট ভাগ হবে। মধ্যপ্রদেশে শিবরাজ সিং চৌহান ও ছত্তীশগড়ে রমন সিংয়ের বিজেপি সরকারের ভাগ্য সুতোর উপর ঝুলবে এটা পরিষ্কার। মধ্যপ্রদেশে বিজেপি-র ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেললেও কংগ্রেস সম্ভবত পরিষ্কার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। কংগ্রেস সরকার গঠন করলে কমল নাথ, দিগ্বিজয় সিং আর জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মধ্যে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তাই নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে।
আর তেলঙ্গানায় কে চন্দ্রশেখর রাও দ্বিতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তেমনইইঙ্গিত। রাজস্থানে কংগ্রেস জিতে ক্ষমতায় এলে তরুণ নেতা শচীন পাইলট ও প্রবীণ অশোক গহলৌতের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এ এগিয়ে থাকবেন, সেটাও দেখার। মিজোরামে মিজো ন্যাশন্যাল ফ্রন্টের কাছে হারবে কংগ্রেস, বুথ ফেরত সমীক্ষায় তেমনই ইঙ্গিত।