Latest News

ভোটের ভবানীপুরে বাড়ি বাড়ি ‘দিদির ভাই’ ববি, বিজেপির প্রিয়াঙ্কা, সিপিএমের শ্রীজীব

দ্য ওয়াল ব্যুরো: রবিবাসরীয় ভোট প্রচারে সরগরম ভবানীপুর (Bhowanipore)। চেতলায় দলনেত্রীর হয়ে প্রচারে ব্যস্ত হলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ভোটের আবেদন করলেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান। এদিন চেতলায় দলের স্থানীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘‌সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ভোট দেবেন বলছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী হয়েই প্রচারে বেরিয়েছি। গণতন্ত্রের নিয়মে মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যেতে হয়। সেটাই করছি।’‌ ভবানীপুরে তৃণমূল যে ছয়জন মন্ত্রীকে প্রচারের দায়িত্ব  দিয়েছে ফিরহাদ হাকিম (ববি) তাঁদের অন্যতম।

ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরিওয়াল। এদিন ফিরহাদ প্রিয়াঙ্কা প্রসঙ্গে বলেন, ‘‌ভবানীপুরে প্রচারের জন্য বহু নেতা ভয় পেয়ে সরে দাঁড়াচ্ছেন।’

বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল ভবানীপুরে দেওয়াল লিখতে দেওয়া হচ্ছে না। অভিযোগ উড়িয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘‌নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা। প্রচার করার লোক নেই, দেওয়াল লেখার লোক নেই। কোনও এজেন্সিকে ভাড়া করুক তাও কিছু লোক পাবে। একটা সাম্প্রদায়িক দল ওরা। লোক পাবে কোথা থেকে।’‌

এদিন সকালে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল চত্বর থেকে প্রচার শুরু করেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরিওয়াল। প্রাতঃভ্রমণকারীদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় সারেন তিনি। দলের রাজ্য সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে এদিন ভোটের প্রচারে বেরিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। রবিবার সকালে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল চত্বর থেকে প্রচার শুরু করেন প্রিয়াঙ্কা। পরে ভবানীপুরে এসে যোগ দিলেন চায়ের আড্ডায়। স্থানীয়দের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলেন তিনি। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘‌আমরা মানুষের পাশে রয়েছি। আমি বড় নেতা নই। সাধারণ মানুষই কী করতে হবে তা আমায় বলে দিচ্ছেন।’‌

অন্যদিকে দুই ফুলের টক্করের মাঝেই ভবানীপুর বিধানসভার বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেন বাম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস। রবিবারের সকালে মূলত চেতলা এলাকার বিভিন্ন অলিগলি ও বস্তি এলাকায় ঘুরলেন শ্রীজীব। তাঁর সঙ্গে কোনো বড় মুখ না থাকলেও ছিলেন চেতলা–রাসবিহারী এলাকার বামফ্রন্টের কর্মীরা। সিপিএমের পাশাপাশি সিপিআই কর্মীরাও অংশ নেন প্রচারে। সকালে বিভিন্ন গলিতে পথসভা করে সিপিএম। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন সিপিএমের তরুণ আইনজীবী প্রার্থী। তাঁর কটাক্ষ, কোনও সরকারই সাধারণ মানুষের জন্য সদর্থক ভূমিকা নিচ্ছে না। তাই বিকল্প বামফ্রন্ট।

দিদির হয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক। তিনি প্রচারে বেড়িয়ে বলেন, ‘‌যেহেতু নন্দীগ্রামে কারচুপি হয়েছিল, তাই সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দাঁড়াতে হয়েছে। আমরা আনন্দিত আমাদের ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরে এসেছে। দিলীপদার ভয় পাওয়ার দরকার নেই, তাকে আমরা সম্মানের সঙ্গে রাখব।’‌

রবিবারের সকাল অন্য রাজনীতিবিদদের কাছে কিছুটা হালকা শিডিউলের হলেও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ শুরু করেন রুটিন মাফিকই। এদিনও তিনি রোজকার মতো সোজা চলে যান ইকো পার্কে। সেখান থেকে রওনা হন ভবানীপুরে। দেওয়ালে পদ্মছাপ এঁকে প্রিয়াঙ্কার প্রচারে অংশ নেন তিনি। প্রচারে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা নিজেও।

পড়ুন দ্য ওয়ালের সাহিত্য পত্রিকা ‘সুখপাঠ’

You might also like